বরিশালের উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় নিজের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল। পরে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. মজিদ সিকদার বাচ্চু ও পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিনের হস্তক্ষেপে কোন মতে রক্ষা পেয়েছেন বিতর্কিত এ আ’লীগ নেতা। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে পৌর এলাকার সরকারী ডাকবাংলোর দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, আগামী ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি দিবস পালনের লক্ষে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এস এম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে পৌর এলাকার সরকারী ডাকবাংলোর দ্বিতীয় তলায় এক বিশেষ বর্ধিত সভা করা হয়।
সভায় উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বালীসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের বক্তব্যে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন রয়েছে বলে দাবি করেন। এর কিছুক্ষণ পরে সভা চলাকালীন সময়ে হঠাৎ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবালের সহোচর শংকর মজুমদার উত্তেজিতভাবে বলেন, নেতাকর্মীরা বক্তব্যের শুরুতে উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম না নিয়ে তাকে অসম্মান করছে।
এতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে তাৎক্ষণিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সভার শেষ পর্যায়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এসএম জামাল হোসেনের সমাপনী বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল বাধা প্রদান করেন।
এতে উপস্থিত নেতাকর্মীরা উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষিপ্ত হলে তিনিও নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হন। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে আ’লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মীদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবালের হাতাহাতির উপক্রম হলে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নেতাকর্মীদের নিবৃত্ত করে পরিস্থিতির সামাল দেন।
এদিকে নেতাকর্মীদের সাথে হট্টগোলের এমন সংবাদে মুহূর্তের মধ্যে পৌর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিলে সকটে পড়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল।
এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এসএম জামাল হোসেন বর্ধিত সভায় হট্টগোলের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, সভায় অনেক নেতাকর্মীর সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান’র বাকবিতন্ড হয়েছে। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারবো না।”
বরিশালের খবর