বরিশাল: বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আওতাভুক্ত ৭টি সংগঠনের ডাকে ১৫ দফা দাবীতে তৃতীয় দিনর ন্যায় ধর্মঘট চলমান। তবে নৌ পরিবহন মন্ত্রীর নির্দেশে যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচলের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় এই সিদ্ধান্তের পর শনিার সকাল থেকে বরিশালের সকল রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করছে। বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী সকল প্রকার জাহাজ চলাচল।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশনের বরিশাল জেলার সভাপতি শেখ আবুল হাসেম মাস্টার বলেন, নৌ-যান শ্রমিকদের বেতন নূন্যতম ১০ হাজার টাকা, শ্রমিকদের নিরাপত্তা দেয়া, নদীর পথ সচল রাখাসহ ১৫ দফা দাবীতে তারা বুধবার মধ্যরাত থেকে সকল প্রকার নৌযানে ধর্মঘট পালন করছেন। রাজধানীর বিআইডব্লিউটিএর ভবনে ধর্মঘট নিরাসনে নৌ পরিবহন মন্ত্রী, নৌযানের মালিক পক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সাথে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। এইচএসসি পরীক্ষা এবং যাত্রীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় এনে আমরা মন্ত্রীর আশ্বাসে যাত্রীবাহী লঞ্চ এই ধর্মঘটের আওতামুক্ত রেখেছি।
তবে অয়েল ট্যাংকার, বাল্কহেডসহ সকল প্রকার পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। এই শ্রমিক নেতা আরো বলেন, শনিবার (২৩এপ্রিল) বিকেল ৪টায় রাজধানীতে ফের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে দাবী না মানা পর্যন্ত এই ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, তারা কর্মচারীদের উপযুক্ত বেতন ভাতা দিয়ে থাকেন। পণ্যবাহি জাহাজের শ্রমিকদের দাবী অনুযায়ী মজুরী বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বরিশালের খবর