ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কা কান্না থামছেই না কুলসুমের
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: গৃহবধূ কুলসুম বেগমের স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) তার স্বামী মো. জাফর মাতাব্বরের লাশ দাফন করা হয়। এরপর থেকে স্বামীর কবরের পাশে গিয়ে প্রতিদিন কান্না করছেন গৃহবধূ কুলসুম। যেন তার কান্না থামছেই না।
গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিএনকে হসপিটালেচিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ভোলার লালমোহনের মো. জাফর মাতাব্বর নামের ওই ব্যক্তি। এ ঘটনায় শোকের মাতম চলছে পরিবারজুড়ে।
জাফরের পরিবারের সদস্যদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠেছে লালমোহন উপজেলার সাদাপোল এলাকার আকাশ-বাতাস। জাফর ওই এলাকার মৃত মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় লালমোহন থানায় গত ১৩ অক্টোবর মামলা করেন নিহত জাফরের স্ত্রী কুলসুম বেগম।
মামলা করার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে ন্যায় বিচারের শঙ্কায় রয়েছেন পরিবারটি। নিহত জাফরের স্ত্রী কুলসুম বেগম জানান, গত ১০ অক্টোবর আমাদের বসতভিটা নিজেদের দাবী করে উচ্ছেদ করতে একই বাড়ির ফারুক ও তার ছেলেরাসহ অন্তত ৭-৮জন হামলা করে আমার স্বামীসহ পরিবারের ওপর। হামলায় আমার স্বামীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে ফারুক ও তার ছেলেরা।
তিনি আরো বলেন, ওই হামলায় আমার স্বামী জাফরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এঘটনায় থানায় মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আমরা প্রশাসনের কাছে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের অনুরোধ করছি। নিহত জাফরের ছেলে তপু বলেন, বাবাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এতে করে আমরা ন্যায় বিচার পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছি।
আমার দাবী বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে যেন আইনের আওতায় আনা হয়। এব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর
রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছে। তারপরেও আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।