বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৫:৩৫ অপরাহ্ণ, ৩০ জুন ২০১৬
বরিশাল: রংপুরে ট্রাক চালককে হত্যা করে চাল লুটের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় ১০ ডাকাতের ফাঁসি ও আমৃত কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ডাকাতরা হলেন- পটুয়াখালীর গলাচিপা এলাকার আবুল বাশার (৪০), একই এলকার চান্দু মৃধা (৩০), সোবহান শিকদার (২৭), পটুয়াখালীর শহীদ, অহিদ, নজরুল ইসলাম সুমন, বরগুনার জসিম, খাগড়াছড়ির মানিক, রংপুরের শাহিন ও বাবুল হোসেন। মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ২৮ মার্চ বিকেলে পঞ্চগড়ের রুহিয়া বাজার থেকে ২০০ বস্তা চাল নিয়ে ঢাকার মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ট্রাকচালক পরেশ চন্দ্র।
ট্রাকটি রাত সাড়ে ৮টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ অতিক্রম করে ফাঁকা জায়গায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পটুয়াখালীর গলাচিপা এলাকার আবুল বাশার , একই এলকার চান্দু মৃধা ও সোবহান শিকদারসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দল তাদের খালি ট্রাক নিয়ে চালভর্তি ট্রাকটির গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে পরেশকে জোরপূর্বক ট্রাকে তুলে নিয়ে রংপুরের বদরগঞ্জের দিকে রওনা হয় ডাকাত দলের একটি অংশ।
এসময় অপর কয়েকজন চালভর্তি ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ডাকাতরা বদরগঞ্জের অদূরে পৌঁছানোর পর পরেশকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ রাস্তায় ফেলে দিয়ে ট্রাক নিয়ে পালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ভ্যানকে ধাক্কা দিলে ভ্যান চালক মনোরঞ্জনসহ আরোহী পলাশ চন্দ্র গুরুতর আহত হন। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ট্রাক চালক আবুল বাশারসহ আরো দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এবং আহত মনোরঞ্জনসহ পলাশকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে চালসহ ট্রাক লুটের ঘটনায় ওই রাতেই তারাগঞ্জ থানায় লুটের মামলা করেন ট্রাকের মালিক হারান চন্দ্র। এছাড়া ট্রাক চালক পরেশকে হত্যার ঘটনায় পরদিন ২৯ মার্চ বদরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে দীর্ঘদিন মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে হত্যা মামলায় ১০ ডাকাতের ফাঁসি ও ডাকাতির মামলায় তাদের আমৃত কারাদণ্ডাদেশের রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত ১০ ডাকাতের মধ্যে আবুল বাশার, চান্দু মৃধা ও সোবহান শিকদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।