পটুয়াখালী: ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভবনটি তিনতলা। দোতলায় ইউপির প্রশাসনিক কার্যক্রম চলে। আর তিনতলার চারটি কক্ষের দুটিতে কার্যক্রম চালাচ্ছে ‘কথা-মণি কিন্ডারগার্টেন’ নামের এক স্কুল। দুই কক্ষের একটিতে বসে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছিলেন এক শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এমন দৃশ্য দেখা যায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউপি ভবনে। ভবনের সামনে ও তিনতলার রেলিংয়ে কথা-মণি কিন্ডারগার্টেনের দুটি ব্যানার টাঙানো রয়েছে। ইউপি ভবনে এভাবে স্কুল করার কোনো নিয়ম না থাকলেও সেখানে স্কুল খুলে বসেছেন ফয়েজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। ইউপি চেয়ারম্যান তাঁকে ওই ভবনে স্কুল খোলার অনুমতিও দিয়েছেন।
দুই কক্ষের স্কুলটিতে গিয়ে কথা বলতে চাইলে পাঠদানে ব্যস্ত থাকা একজন কক্ষের দরজায় এসে দাঁড়ান। নাম মো. ফয়েজ উদ্দিন বলে পরিচয় দেন। জানালেন, তিনি ওই কথা-মণি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক ও শিক্ষক।
ফয়েজ উদ্দিন বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুকের অনুমতি ও সহযোগিতায় তিনি ইউপি ভবনে তিন-চার মাস ধরে প্লে গ্রুপ থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ওই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। স্কুলে এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা মোট ৫০। তিনিসহ শিক্ষক দুজন। শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম চলছে।
বাউফলের একটি মাদ্রাসা থেকে ফয়েজ উদ্দিন আলিম পাস করেছেন। এখন রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন।
ইউপি ভবনে স্কুল খোলার বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সেখানে স্কুল খোলার অনুমতি তিনি দিয়েছেন। ইউপি ভবনে স্কুল করা যায় কি না, প্রশ্ন করলে জবাব না দিয়ে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো ইউপি ভবনে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কার্যক্রম চলতে পারে না। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।