পটুয়াখালীতে বিদ্রোহী প্রার্থীর বাসায় আ’লীগ প্রার্থীর হামলা-ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে । উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম সোহেল আহমেদ।
তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এটিএম মোস্তাফিজুর রহমানের বাসায় হামলা ও আধা ঘণ্টার মধ্যে এলাকা ছাড়ার হুমকিসহ স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে বিদ্রোহী প্রার্থীর বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোহেল আহমেদ।
জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়।
১৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়। তবে প্রচারণার শুরুতেই নৌকা মার্কার প্রার্থী সোহেলের বিরদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজ। এ ঘটনা এখন মির্জাগঞ্জে টক অব দ্য টাউন।
বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই ইউনিয়নে আমার ব্যাপক জনসমর্থন থাকায় ঈর্ষাণীত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নৌকা মার্কার প্রার্থী সোহেল নিজেই কতিপয় বহিরাগত গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আমার বাসায় হঠাৎ ঢুকে আকস্মিক হামলা চালায়।
বাসার সামনে আমার সমর্থকদের বসার জন্য রাখা চেয়ার টেবিলসহ বাসার আসবাসপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় আমার স্ত্রী বাধা দিলে তাকেও শ্লীলতাহানি করে।আমার সন্তানদের বাসা থেকে বের করে দিয়ে আমার স্ত্রীকে সোহেল বলেন, আধা ঘণ্টার মধ্যে তোর স্বামী মোস্তাফিজকে (আমাকে) এলাকা ছেড়ে যেতে বলবি।
এ ছাড়াও আমিসহ আমার সর্মথকদের গুম করে ফেলার হুমকিও দেন আ’লীগ প্রার্থী সোহেল। মোস্তাফিজ আরও বলেন, এ ঘটনায় তিনি রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট)-সহ নির্বাচন পরিচালনাকারী সকল কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো সত্ত্বেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না প্রশাসন।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা মার্কা) শাহেদুল ইসলাম সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমাকে হেয় করার জন্য নিজেরা ভাঙচুরের মিথ্যা বানোয়াট নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি বা আমার সমর্থকরা এ হামলার কোনো ধরনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।
রিটার্নিং অফিসার ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘এ ঘটনায় দুপক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান আহম্মেদ মৃত্যুর পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য থাকায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২ নভেম্বর।
পটুয়াখালি, বিভাগের খবর