১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পটুয়াখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পটুয়াখালী: ১৩২০ মেগাওয়াটের আরও একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। এজন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এ-সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এ অংশের কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৮২৩ কোটি ৩৭ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিসিএল) তহবিল থেকে ৪৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটি নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কৃষিজমি অধিগ্রহণ না করা যৌক্তিক হবে। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে এনইসি সভার সিদ্ধান্তসমূহ অনুসরণ করা সমীচীন হবে।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারের মধ্য মেয়াদি বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি কর্মসূচির অংশ হিসেবে আরপিসিএল পটুয়াখালী জেলায় একটি ১৩২০ মেগাওয়াটের (৬৬০ করে দুটি) ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানখালী, ধানখালী ও লোন্দা মৌজায় ৯১৫ দশমিক ৭৪ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি ধানখালী ইউনিয়নের রাবনাবাদ চ্যানেলের তীরে অবস্থিত। বিদ্যুৎ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণের জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে অধিগ্রহণ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পূর্ব কাজ হিসেবে ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, উন্নয়ন করা ভূমি রক্ষায় চারদিকে বাঁধ নির্মাণ ও সুরক্ষা কাজসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৯১৫ দশমিক ৭৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়নে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯ ঘনমিটার মাটির কাজ, ১১৫ কিলোমিটার ভূমি সুরক্ষা ও বাঁধ নির্মাণ, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বৈদ্যুতিক সুবিধা স্থাপন, প্রকল্পের জন্য যানবাহন কেনা, ড্রয়িং-ডিজাইন-টেন্ডার ডকুমেন্ট তৈরি ও ভূমি উন্নয়নসহ ভৌত কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ এবং প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ১৭০টি পরিবারের পুর্নবাসন করা।

পিইসি সভায় পরিকল্পনা কমিশন বলেছে, প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব (ইআইএ)-এর প্রতিবেদন অনুসারে পরিবেশ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা তৈরি করে তার পুনর্গঠিত ডিপিপিতে (পুনর্গঠিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া একটি জিপ, ২টি পিকআপ ও ৪টি মোটরসাইকেল কেনার প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি গাড়ি ভাড়া নেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়েছে। এর যৌক্তিকতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

22 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন