বরিশালটাইমস, ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০৬ অপরাহ্ণ, ১২ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: রাজবাড়ী সদর উপজেলা বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নারী ও পুরুষ দুই সদস্যকে পরকিয়ার অভিযোগ এনে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করেছে একই ইউনিয়নের যুবদল নেতা।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী ইউপি সদস্য। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বসন্তপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারী ইউপি সদস্য বর্তমানে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অভিযোগ, যুবদলের স্থানীয় এক নেতা ও তার সহযোগীরা মারধর ও নির্যাতন করেছেন।
গত শুক্রবার তাদের নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রায়হান খান বসন্তপুর ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগে রায়হানসহ চার-পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘দুই ইউপি সদস্যের নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দেখেছি।
শুনেছি, সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেছিলেন। নারী ইউপি সদস্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারী ইউপি সদস্যের সাথে দুর্গাপূজা দেখতে যান আরেক ইউপি সদস্য। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই নারীকে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে নামিয়ে দিতে আসেন তিনি।
এ সময় রায়হান ও তার লোকজন পরকীয়ার অভিযোগ এনে দুই ইউপি সদস্যকে তুলে নিয়ে যান স্থানীয় মহারাজপুর ব্রিজ এলাকার একটি দোকানে।
সেখান দুজনকে একই রশিতে বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। কয়েকজন মোবাইলে সেই মারধরের ভিডিও ধারণ করেন। পাঁচ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও গত সন্ধ্যায় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কাঠের লাঠি দিয়ে দুজন ইউপি সদস্যকে মারধর করছেন রায়হান। তার সাথে আরো দুই যুবক মারধরে অংশ নেন। মারধরের পাশাপাশি তাদের লক্ষ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে।
একপর্যায়ে ওই নারী সদস্যের গলা থেকে সোনার চেইন ও পায়ের নূপুর খুলে নেন রায়হান। আরেক যুবক লাঠি হাতে তেড়ে এসে গালাগালি করে আবারো তাদের মারধর করতে থাকেন।
শনিবার সকালে রায়হান খান মোবাইলে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান এলাকার যুবকেরা।
পরে স্থানীয় এক দোকানে তাদের আটকে আমাকে খবর দেন তারা। এ সময় স্থানীয় যুবকেরা তাদের মারধর করেন। এ সময় আমিও মারধর করি।’