পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনার পর থেকে ক্যাশিয়ার জায়েদা খানম পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে সোমবার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী হাফিজ আহমেদ জানান, ক্যাশিয়ার জায়েদা খানম দীর্ঘদিন ধরে সমিতির বিভিন্ন উৎস থেকে অর্জিত অর্থ অগ্রণী ব্যাংকের মূল হিসাবে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাত করেন। এছাড়া ব্যাংকের ভুয়া জমা রশিদ ও ব্যাংক হিসাবের মাসিক স্টেটমেন্টগুলো জালিয়াতি করে এসব অর্থ হিসাবে সমন্বয় করেন।
তিনি জানান, ২০০৫ সাল থেকে জালিয়াতি করে আসছিলেন বলে জায়েদা স্বীকার করেছেন। তবে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জায়েদাকে অন্যত্র বদলী করলে অর্থ জালিয়াতির বিষয়টি স্পস্ট হয়ে উঠে। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তবে পটুয়াখালী অগ্রণী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আবদুর রাজ্জাক জানান, পল্লী বিদ্যুতের মূল হিসাবটি তাদের শাখায় রয়েছে। তবে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংকের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অর্থ) রনজিৎ কুমার দেবনাথ জানান, জায়েদা পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ১৯৯১ সাল থেকে ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত আছেন। এখন পর্যন্ত ছয় কোটি ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি। তবে এ অর্থের পরিমান আসলে কত তা তদন্তের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসবে।
সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বড় বড় কর্মকর্তারাও জড়িত। তা না হলে একজন নারীর পক্ষে এতোসব কাগজপত্র জালিয়াতি করে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাত করা সম্ভব নয়। তবে পটুয়াখালী ও ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে ক্যাশিয়ার জায়েদা খানমের একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, পল্লী বিদ্যুতের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি দুদকে পাঠানো হয়েছে।
খবর বিজ্ঞপ্তি, পটুয়াখালি