পাঁচ বছর বন্ধ থাকা কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করলেন ইউএনও!
মুনতাসির তাসরিপ, দশমিনা প্রতিনিধিঃ দশমিনা। বলা হয় পটুয়াখালী জেলার ভিতরে অবহেলিত এলাকার মধ্যে রাঙ্গাবালীর পরই এর অবস্থান। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে যেন একটু বেশিই পিছিয়ে এ অঞ্চল। কে জানত গত পাঁচ বছর পরে থাকা সেই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আবারও সেবা পেতে পারে মানুষ? কিন্তু এমনটাই ঘটেছে পটুয়াখালীর দশমিনায়। পাঁচ বছর বন্ধ থাকা কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।
উপজেলার হাজিরহাট লঞ্চ ঘাট এলাকার এ কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু হওয়ার পর চরহাদী, গোলখালী, ঢনঢনিয়া,হাজীরহাট এলাকার প্রায় ১৫,০০০ মানুষ সেবার আওতায় আসবে বলে জানা যায়।
২০১২ সালে এই অবহেলিত অঞ্চলের মানুষকে সেবার আওতায় আনতে হাজিরহাট লঞ্চঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পাড়ে নিজস্ব ভবনে এই ক্লিনিকের কাজ শুরু হয়৷ বেশ কিছুদিন মানুষ সেবা নিয়ে আসছিলো।
কিন্তু ২০১৮ সালের জানুয়ারির দিকে দফায় দফায় পরিত্যক্ত ভবনের ছাদ ধসে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা আহত হওয়ার পর বন্ধ হয় এর কার্যক্রম। এরপর আবারও স্থানীয় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে কাজ শুরু হয় বলে জানা যায়। তবে মাসিক ঘরভাড়া নিয়ে জটিলতার কারণে বিলুপ্ত হয় এ ক্লিনিক। পরবর্তীতে এই ক্লিনিক পুনরায় চালু করার দাবীতে ধাপে ধাপে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। এছাড়াও উর্ধ্বোতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলালের নজরে আসলে তিনি এটি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে এ কার্যক্রম সেই পরিত্যাক্ত ভবনে নয়, পাশেরই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অকেজো একটা কক্ষে চালু হয় ক্লিনিকের কার্যক্রম।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাজিরহাট কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. রাকিবুল হাসান জানান, আমরা ক্লিনিক চালুর জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রয়োজনীয় ভবন না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিজের ব্যক্তিগত খরচে ঘর ভাড়া দিয়ে কিছুদিন ক্লিনিক চালু রেখেছিলাম।পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিলতায় তা আর সম্ভব হয়নি। নতুন ভবন না পাওয়ায় এতোদিন ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে কমিউনিটি ক্লিনিকটি সচল করার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অব্যবহৃত একটি কক্ষে ক্লিনিকের কার্যক্রম সচল করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং ঔ ভবনে এখন থেকে নিয়মিত ক্লিনিকের কার্যক্রম চলবে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহাজাদা এমপি বরিশাল টাইমসকে বলেন, এটা খুবই ভালো এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
পটুয়াখালি, বিভাগের খবর