পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার জোলাগাতি-তালুকদারহাট সড়কের তালুকদার হাট ও হাওলাদার হাটের সংযোগ সেতু এবং নুরুজ্জামান সম্রাটের বাড়ির সামনের লোহার সেতুটি বেহালদাশায় পরিণত হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দুটি দিয়ে চলাচল করছে স্কুল-মাদ্রাসাগামী শিশুসহ এলাকাবাসী।
সরেজমিনে ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- তালুকদার হাট ও হাওলাদার হাটের মধ্যবর্তী খালের ওপর ৪ বছর পূর্বে নির্মিত পাকা সেতুটির পিলার ডেবে একটি স্প্যান ঝুলে রয়েছে। নির্মাণের দুই বছরের মাথায় সেতুটি ডেবে যায়। সেতুর ওপর সুপারি গাছ দিয়ে আলাদা সাঁকো তৈরি করে চলাচল করতে হচ্ছে। পাশেই রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব শিয়ালকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ওই স্কুলের প্রায় তিন শতাধিক শিশু বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই এমন কথাই বললেন এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী।
ওই সড়কের ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সম্রাটের বাড়ির সামনে লোহার সেতুটির মূল স্প্যানের বিম মরিচা ধরে ভেঙে ঝুলে পড়েছে।
ওই এলাকার মো. শাহ আলম বরিশালটাইমসকে জানান, প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর পূর্বে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে সেতুটির বিম ভেঙে গেছে পিলারের এঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে অকেজো হয়ে গেছে। ওপরের স্লাবগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করার মতো শক্তি সেতুটি হারিয়ে ফেলেছে।
ওই সেতুতেও উপরেও সুপারী গাছ দিয়ে বেঁধে কোনোরকম চলাচল করছে এলাকাবাসী। ওই দুটি সেতুর ওপর দিয়ে এলাকার চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিমল চন্দ্র বিশ্বাস বরিশালটাইমসকে জানান, তালুকদার হাট ও হাওলাদার হাটের সংযোগ সেতু পুনঃনির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। নুরুজ্জামান সম্রাটের বাড়ির সামনের লোহার সেতুটি নির্মাণ করা সময়সাপেক্ষ।
এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবির বরিশালটাইমসকে বলেন, তালুকদার হাটের ব্রিজের টেন্ডার শিগগিরই হবে বলে আশা করছি। অন্য সেতুটি সাময়িকভাবে মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শিরোনামখবর বিজ্ঞপ্তি, পিরোজপুর