পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় দুই যুবকের ওপর হামলায় নদীতে ডুবে একজন নিখোঁজ ও অপরজন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার দুপুর একটার দিকে মোড়েলগঞ্জ ও ইন্দুরকানীর মধ্যবর্তী পানগুছি নদীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় উদ্ধার সামসুল আরেফিন রনি (৩৫) মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন ও নিখোঁজ রয়েছেন খায়রুল ইসলাম সবুজ (৩৪)। তাদের বাড়ি খুলনার শেখ পাড়ায় বলে জানিয়েছেন মোড়েলগঞ্জ থানা এসআই আবু সুফিয়ান।
সামসুল আরেফিন রনি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (কেডিএ) ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তারা একটি বাড়ির নকশা তৈরির করার জন্য রায়েন্দা যাচ্ছিলেন।
এমন সময় উপজেলার পাড়েরহাট এলাকার কয়েকজন বন্ধু একত্রে হয়ে বনভোজনের জন্য হরিনপালা পিকনিক স্পটে ট্রলার ভাড়া করে রওনা হয়। সকালের নাস্তা ও অন্য এক বন্ধুকে নেওয়ার জন্য মোড়েলগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড (সোলমবাড়িয়া) ট্রলার ঘাটে অবস্থান করে।
নাস্তা শেষে বন্ধুকে নিয়ে ট্রলারে রওনা হবার সময় নদী পাড়াপাড়ের নিয়মিত ট্রলার বুঝে ২জন পথচারী ভুল করে ওই ট্রলারে ওঠে সিগারেট খেতে থাকে।
তখন ট্রলারে থাকা পূর্বের যুবকরা সিগারেট খাওয়ায় প্রতিবাদ করলে নদীর মাঝবর্তী স্থানে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ইঞ্জিনিয়ার রনি ও সবুজ নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। উভয়ের চিৎকারে স্থানীয় জেলে এবং ট্রলার মাঝিরা দ্রুত ঘটনাস্থানে গিয়ে শামছুল আরেফিনকে নদী থেকে উদ্বার করে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। কিন্তু অপর যাত্রী খায়রুল ইসলাম সবুজকে সংবাদ লেখা পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ।
আটকরা হলেন- হাফিজ হাওলাদার (২০), হাসিব (১৭), অহিদুজ্জামান পরশ (৩০), সাইফুল রানা (২০), হাফিজুল ইসলাম (৩০), মাহামুদ (১৮) ও হাসিব (১৯)। এঘটনায় ট্রলারের চালক ছগির (১৭) ও হাচান (২০) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এদের মধ্যে আটক হাফিজুল, হাসিব ও মাহামুদের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ গাজিপুর গ্রামে। এছাড়া ট্রলারের দুই চালকসহ অপর ৪জনের বাড়ি ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নে।
ট্রলারের চালক ছগির বরিশালটাইমসকে জানান, পাড়েরহাট এলাকার কয়েকজন যুবক আমাকে পিকনিকের কথা বলে ট্রলারটি ভাড়া করে মোড়েলগঞ্জ নিয়ে যায়। এসময় ছোলমবাড়িয়া ঘাট থেকে ৩জন অপরিচিত লোক আমার ট্রলারে ওঠে।
তাদের মধ্যে পরশ নামে এক যুবক তাদের পরিচিত ছিল। পরে ট্রলার ছেড়ে পান গুছি নদীর মাঝ খানে বসে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ট্রলার থেকে দুই জন নদীতে পড়ে যায়।
ইন্দুরকানী থানা ওসি নাসির উদ্দিন শেখ বরিশালটাইমসকে জানান, স্থানীয় জনগনের সহায়তায় ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পথচারী খায়রুল ইসলাম সবুজ নদীতে নিখোঁজ হওয়ায় উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসসহ আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।’
পিরোজপুর