পিরোজপুরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডে এক রাজাকারপুত্রকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় এমপির প্রতিনিধি করার অভিযোগ উঠেছে। এমপি’র এ প্রতিনিধির নাম কামরুজ্জামান মুক্তা ফকির। মুক্তার বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের খানাকুনিয়ারী গ্রামে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে পিরোজপুর টাউন ক্লাব রোডে মানবন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড পিরোজপুর জেলা শাখা।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালে কদমতলা এলাকায় রাজাকার আব্দুস সোবাহান ফকিরের ভূমিকা কারো অজানা নয়। তরুন প্রজন্মের কাছেও এ খবরটি আছে। যুদ্ধের পর তার নামে মামলাও হয়েছিল। বেঁচে থাকলে আজ তিনি কাঠগড়ায় থাকতেন। তার ছেলে কামরুজ্জামান মুক্তা ফকির কীভাবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষায় বাছাইয়ের দায়িত্ব পায় তা ভাবতে অবাক লাগে।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম মন্টু সিকদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সমীর কুমার দাস বাচ্চু, ডেপুটি কমান্ডার হারুন অর রশীদ, সহকারি কমান্ডার (অর্থ) শহিদুল আলম মন্টু প্রমুখ। এ সময় বক্তারা এ ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও চরম লজ্জার দাবি করে পিরোজপুর ১ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএমএ আউয়ালের সমালোচনা করেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ মে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা আবেদন করেন এবং লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। উর্ত্তীণ ২৬৩ জনের মৌখিক পরীক্ষা ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। এই মৌখিক পরীক্ষায় পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়ালের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন কামরুজ্জামান মুক্তা ফকির। বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ মজুমদার জানান, মৌখিক পরীক্ষায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএমএ আউয়ালের মনোনীত প্রতিনিধি কামরুজ্জামান মুক্তা।