পিরোজপুরে মেয়েকে হত্যার দায়ে মহারাজ হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিল্লুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত একই দিন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আরও এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মহারাজ হাওলাদারের বাড়ি মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শিংগা গ্রামে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া সেলিম বেপারির বাড়ি উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামে।
আদালতের নথিসূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৪ মে রাতে মঠবাড়িয়া উপজেলার ভেচকী গ্রামের মহারাজ তার আট বছরের মেয়ে জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি খালে ফেলে দেয়। পরে মহারাজ প্রচার করে জেসমিন পানিতে ডুবে মারা গেছে। খবর পেয়ে জেসমিনের মামা আব্দুস সালাম স্থানীয় থানায় খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া উপ পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মহারাজের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, ২০০৯ সালের ৮ জুলাই ভোরে দাম্পত্য কলহের জের ধরে সেলিম বেপারি তার স্ত্রী আকলিমাকে মারধর করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
খবর বিজ্ঞপ্তি, পিরোজপুর