নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি উভয়পক্ষের।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার পৃথক স্থানে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতাকর্মীরা আসার সময় পথে বাধা দেয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
উপজেলার কালীবাড়ি মোড়, সাতকাছিমা ও হাসপাতালের সামনের সড়কে নেতাকর্মীদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কয়েক দফার সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৪০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বিএনপির কার্যালয়।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘সভা শেষে আমি গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলাম। এ সময় পেছন থেকে ৪০ থেকে ৫০ জন এসে আমার ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ সঙ্গে থাকা আট নেতাকর্মী আহত হয়।’
পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বলেন, আমাদের সমাবেশে আসার পথে কয়েকটি স্থানে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সহ ২৫-৩০ জন আহত হয়েছে।’
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মো. আল আমীন বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করার সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে।
তাই বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতিহত করা হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় আমাদের কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম। বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।’
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
পিরোজপুর, বিভাগের খবর