বরিশালটাইমস, ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৩ অপরাহ্ণ, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের নেছারাবাদে যৌথ বাহিনীর পৃথক দুটি অভিযানে ২৪৭ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার এবং হারুন মোল্লা (৫৫) ও আবুল কালাম (৫০) নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার সোগাগদল গ্রাম এবং গয়েসকাঠি গ্রামে অভিযান দুটি পরিচালনা করা হয়। আটক হারুন মোল্লা বরগুনা জেলার পাথরঘাটা গ্রামের মো. মহিবুল হক মোল্লার ছেলে ও আবুল কালাম মঠবাড়িয়া থানার মো. আশ্রাফ আলী মিয়ার ছেলে।
নেছারাবাদ থানার উপপরিদর্শক মো. পনির খান বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পূর্ব সোহাগদল গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪৮ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।
একই রাত বারটার দিকে গয়েসকাঠি গ্রামের পূর্ব গয়েসকাঠি করফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের নদীর নৌকা থেকে ১৯৯ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার এবং হারুন মোল্লা ও আবুল কালামকে আটক করা হয়।
উপপরিদর্শক মো. পনির খান আরও বলেন, ‘রাত বারটার দিকে জানতে পারি স্থানীয়রা একটি ফিশিং বোটসহ বিপুল হরিণের মাংস আটকেছে ও দুই ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়েছে ।
পরে সেনাবাহিনীসহ আমরা ছুটে গিয়ে ওই মাংসসহ তাদের আটক করে নিয়ে এসেছি। তাদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
হারুন মোল্লা জানান, তিনি ওই নৌকার একজন কর্মচারী। বোটের মাঝির নাম আব্দুল মন্নান। মন্নান বরগুনার মো. করিম হাওলাদারের ছেলে। অনেক আগে থেকেই সুন্দরবন থেকে নেছারাবাদে গোপনে হরিণের মাংস এনে স্থানীয় মো. নজরুল আড়তদারের কাছে বিক্রি করছেন তারা।
উল্লেখ্য, নেছারাবাদ উপজেলায় সুন্দরবন থেকে সন্ধ্যা নদী দিয়ে মাছ ধরার ট্রলার, কাঠের ট্রলার করে হরিণের মাংস, সুন্দরী কাঠসহ মাদকের চালান আসে বলে অভিযোগ আছে। পুলিশের হাতে চোরাকারবারি ধরা পড়ার ঘটনাও ঘটেছে আগে।