বরিশাল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৮) এ যোগদান করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইস উদ্দিন। বৃহস্পতিবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে র্যাব-৮ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন।
এর আগে রইস উদ্দিন খাগড়াছড়ির সার্কেলের সিনিয়র এএসপি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি রংপুর সদরের এএসপি হিসেবেও কাজ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক এই শিক্ষার্থী ২৮ তম বিসিএসে পুলিশে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশ সাইন্সে মাস্টার্স করেন।
চাকরি জীবনের শুরু থেকেই জনবান্ধব এই পুলিশ কর্মকর্তা দক্ষতার সঙ্গেই পুলিশিং কার্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। খাগড়াছড়িতে থাকাকালীন এই পুলিশ কর্মকর্তা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছেন।
বিশেষ করে মাদক বিরোধী অভিযানে ব্যাপক সফল হয়েছেন এই কর্মকর্তা। খাগড়াছড়িকে মাদকমুক্ত করতে এই সাহসী পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
তার সময়ে খাগড়াছড়িতে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ছিল বেশ শান্ত। কোনো ধরনের হানাহানি ছাড়াই তিনি পুরো এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে ছিলেন সদা তৎপর। তার কারণেই খাগড়াছড়িতে নেমে এসেছিলেন শান্তির বারতা। এ কারণে র্যাবে যখন তার বদলির আদেশ হয় তখন এলাকার সাধারণ মানুষ তাকে ছেড়ে দিতে চায়নি। তাকে ফিরে পেতে অনেকে মানববন্ধনও করেছিলেন।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইস উদ্দিন জানান, ‘মানুষের সেবার পণ নিয়েই পুলিশে চাকরি নিয়েছি। শেষ পর্যন্ত মানুষের পাশে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে চাই। সাধারণ মানুষের শেষ ভরসায় পাশে থাকতে চাই। যেখানেই কাজ করেছি সেখানেই সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। নতুন কর্মস্থলেও এর ব্যতিক্রম হবে না। অপরাধীদের জন্য আতঙ্ক আর নিরীহ মানুষের জন্য আশির্বাদ হয়েই থাকতে চাই সবসময়।’
টাঙ্গাইলের মধুপুরে জন্ম এই পুলিশ কর্মকর্তা বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে সন্তান। তার দুই বোন রয়েছে।
শিরোনামখবর বিজ্ঞপ্তি, টাইমস স্পেশাল, বরিশালের খবর