প্রতিপক্ষের জমি জোরপূর্বক দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে কর্মরত কনস্টেবল দিদারুল ইসলাম জুয়েলের বিরুদ্ধে। হয়রানির শিকার সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. জালাল উদ্দিন মৃধা বুধবার বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, দিদারুল ইসলাম মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত থাকায় প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি এ ঘটনায় মামলা করা হলেও পুলিশ প্রশাসন দিদারুলের পক্ষে কাজ করছে।
জালাল উদ্দিন আরও অভিযোগ করেন, তিনি ১৯৯৬ সালে রূপাতলী এলাকায় বরিশাল বেতার স্টেশন সংলগ্ন আলতাফ মাহমুদের কাছ থেকে ২০ শতক জমি কিনে সেখানে বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বাস করছেন। ২০০৮ সালে আলতাফ মাহমুদের মেয়েকে বিয়ে করেন কনস্টেবল দিদারুল ইসলাম। এরপর থেকে তার কেনা জমি থেকে ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ দাবি করে আসছেন দিদারুল।
এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ৮ বছরে একাধিকবার তার বসতবাড়িতে হামলা-ভাংচুর এবং গাছ কেটে নিয়ে গেছে দিদারুল ও তার সহযোগীরা। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। উল্টো দিদারুলের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় তিনি ও তার জামাতাকে কারাভোগ করতে হয়েছে।
এমনকি থানা পুলিশও তার দেওয়া কোনো অভিযোগ গ্রহণ করছে না। তবে কনস্টেবল দিদারুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার শ্বশুরের সঙ্গে জালাল উদ্দিনের জমি নিয়ে মামলা রয়েছে। এর সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর