বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৬:০০ অপরাহ্ণ, ০৭ জুন ২০১৭
ঢাকা-বরিশাল রুটের ক্যাটারম্যান টাইপের অ্যাডভেঞ্চার-৬ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কান্নায় ভেঙে পড়েন মালিক মো. নিজাম উদ্দিন। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় নিজাম শিপিং লাইন্সের ডকইয়ার্ডে নির্মাণাধীন তিনতলা লঞ্চে (ক্যাটামেরান) মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। লঞ্চে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন লঞ্চ মালিক নিজাম উদ্দিন।
বুধবার (০৭ জুন) সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি জানান, ১৫ কোটি টাকায় নির্মিত লঞ্চের সব জায়গায় আগুন ছড়িয়ে প্রায় সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ অগ্নিকাণ্ড কীভাবে হয়েছে সেই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারেননি তিনি। নাশকতা, নাকি অন্য কোনো দুর্ঘটনা সেই বিষয়েও মন্তব্য করেননি লঞ্চ মালিক নিজাম উদ্দিন।
এদিকে বুধবার দুপুর ৩টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান। এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান ও ঝালকাঠি পুলিশ সুপার (এসপি) জোবায়েদুর রহমান।
মঙ্গলবার (০৬ জনু) রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চের আসবাবপত্রসহ ভেতরে থাকা সব মালামাল পুড়ে গেছে। ডকের কর্মী, স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় দীর্ঘ দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
নিজাম শিপিং লাইন্সের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, দিনের বেলায় নদী পথে চলাচলের জন্য অ্যাডভেঞ্চার ৫ ও ৬ নামে দুটি লঞ্চের নির্মাণ কাজ চলছিল। ৫ নম্বর লঞ্চটি শতভাগ নির্মাণ সম্পন্ন। অ্যাডভেঞ্চার ৬ এর খানিক কাজ বাকি। ঈদের আগেই বরিশাল-ঢাকা নৌপথে চলাচল শুরু করার কথা থাকায় শুক্রবার লঞ্চ দুটি পানিতে ভাসানো হতো।
স্থানীয় বাসিন্দা জাফর বরিশালটাইমসকে জানান, তারাবির নামাজের সময় আকস্মিক নিজাম শিপিং লাইন্সের ডকে নির্মাণাধীন ৬ নম্বর লঞ্চের দোতলায় আগুন দেখতে পান। ডকের কর্মী ও স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এরপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নেভাতে নেভাতে তিনতলা বিশিষ্ট লঞ্চের সব তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক শামিম আহসান চৌধুরী জানান খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। তবে আগুন লাগার সূত্রপাত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়া কিছুই বলা সম্ভব হবে না।’’