বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৪:৫০ অপরাহ্ণ, ০৮ জানুয়ারি ২০২০
বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: প্রতিবেশী তরুণকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। ওই নারীর আগেও বিয়ে হয়েছিল। তবে স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রাজশাহীর সুরুজ বাসফর (২৬) নামের এক তরুণ।
সুরুজ বাসফরের বাড়ি রংপুরে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সুরুজ থাকেন স্টাফ কোয়ার্টারে। বাবু হেলা নামে রামেক হাসপাতালেরই রান্নাঘরে দায়িত্বরত চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর মেয়ের সঙ্গে গত শনিবার তার বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সুরুজ বাসফর অভিযোগ করেন, ‘হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকি আমি। পাশেই কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে থাকেন বাবু হেলা। তার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়েকে বিয়ের জন্য আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই প্রস্তাব নাকচ করে কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে নতুন বাসা খুঁজতে শুরু করি। শনিবার বাবু হেলার স্ত্রী এবং মেয়ে আমাকে বাসা দেখানোর নাম করে হাসপাতাল থেকে ডেকে নিয়ে যান। অটোরিকশায় ওঠার পর হঠাৎ অপরিচিত দুই যুবকও অটোরিকশায় ওঠেন। তারা জোর করে আমাকে হড়গ্রাম শিবমন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে ৭-৮ জন যুবক অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু মন্দিরে ছিলেন না কোনো ঠাকুর। মন্দিরের সামনে আমাকে অস্ত্রের মুখে বাবু হেলার মেয়ের মাথায় সিঁদুর দিতে বাধ্য করা হয়। তখন সেই ছবি তোলা হয়। এরপর থেকে প্রচার চালানো হয় আমার বিয়ে হয়ে গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ওই তরুণ বলেন, ‘এই ঘটনার পর থেকে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। কখনো বাবু হেলার বাসায় যাইনি। তার মেয়েকেও বাসায় নিয়ে যাইনি। এ বিয়ে মানি না আমি। এ ব্যাপারে প্রথমে রামেক হাসপাতাল কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের কাছে অভিযোগ দেই। তারপর থেকে বাবু হেলার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমার মামা এবং বোন এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এ সময় তাদের মারধর করা হয়।’
সুরুজ বলেন, ‘ঘটনার পরদিনই রাজপাড়া থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে অভিযোগ করতে চাই। কিন্তু কোনো ছেলেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। কয়েক দফা থানায় ঘুরেও পরে অভিযোগ দিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুরুজ বাসফরের মামা শ্রী তাজ এবং সহকর্মী জনি প্রামাণিক।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি বাবু হেলাকে।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, ‘নিবন্ধন না হলে তো আইনগতভাবে বিয়ের কোনো ভিত্তি নেই। এটা প্রথা অনুযায়ী হতে পারে। আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।’