প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: জয়পুরহাটে রেল কলোনির কালী মন্দিরের পুরনো কালী প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে ছোট যমুনা নদীর চকশ্যাম ঘাট এলাকার সংলগ্ন এলাকা থেকে এই মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতরা হলেন- জয়পুরহাট সদরের স্টেশনরোড এলাকার মৃত বিশ্বজিৎ বাষ্পের ছেলে সনজিত বাষ্প (২৩) ও একই এলাকার পরশ রজকের ছেলে তন্ময় রজক (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিখোঁজদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে জয়পুরহাট সদরের বেল কলোনি কালী মন্দিরের পুরনো কালী প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসেন ৭-৮ জন কিশোর ও যুবক।
এ সময় ছোট যমুনা নদীর চকশ্যাম ঘাটে কালী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া শেষে তারা নদীতে স্নান করছিল। নদীর গভীরতা বেশি থাকায় সাঁতার না জানায় দুই জন নিখোঁজ হয়ে যায়।
তন্ময় রজক এসএসসি পরীক্ষার্থী ও সনজিত বাষ্প উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সদস্য ও রাজশাহী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দুপুরে ঘটনা ঘটার পর পরই নদীতে গভীর রাত অবধি উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করলেও মরদেহ উদ্ধার না হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ রাখে।
পরে ভোর থেকে কার্যক্রম শুরু করে বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে। জয়পুরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঠাকুর বলেন, জয়পুরহাটের মতো জেলায় একজনও ডুবুরিও নেই।
যার ফলে উদ্ধার করতে দেরি হয়েছে। যদি আজ একজন ডুবুরি থাকতো তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হতো।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক শওকত আলী জানান, আমাদের ডুবুরি দল না থাকার কারণে উদ্ধার করতে দেরি হয়।
মূলত রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকালে মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পরিবার থেকে কোনও অভিযোগ ও ময়নাতদন্ত না করার আবেদন করায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এম/এইচ
দেশের খবর