সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সম্পদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়ায় আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার ডাকযোগে এটি পাঠানো হয়।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫-এর সামনে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দীন খোকন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মাহবুব উদ্দীন খোকন সাংবাদিকদের বলেন- বিদেশে খালেদা জিয়ার কোনো শপিং মল বা সম্পদ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য খালেদা জিয়ার জন্য মানহানিকর। তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহার না করা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৩০ দিনের মধ্যে এই বক্তব্য প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নিতে নোটিশে বলা হয়েছে।
কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের বিষয়ে বলেন- বিদেশে বিভিন্ন দেশে তাদের অবৈধ টাকার বিষয়টি বের হয়ে আসছে। এগুলো তো বাংলাদেশ সরকার করছে না।
কাজেই ক্ষমা তাদেরই চাওয়া উচিত। সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার অর্থ নিয়ে এ দেশের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা কি সৌদি আরবে সেই শপিং মলে বিনা পয়সায় শপিং করার জন্য কার্ড পেয়েছেন।
দু-একটি ছাড়া কোনো পত্রিকা-টেলিভিশনে তো রিপোর্ট দেখলাম না। আপনাদের এত দুর্বলতা কিসের জন্য। আমার নাম এলে কী করতেন? সৎসাহস হলো না রিপোর্ট দেওয়ার।’
তিনি আরও বলেন, যারা এত সম্পদের মালিক, তারা জানে মুখ বন্ধ কীভাবে করতে হয়। মুখে ‘রসগোল্লা’ ঢুকিয়েছে। আপনাদের (সাংবাদিকদের) প্রশ্নের উত্তর কেন দেব?
রাজনীতির খবর