পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় লীমা আক্তার এবং লাবনী আক্তার নামের দুই স্কুলছাত্রী প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জিএম সরফরাজের হস্তক্ষেপে রোববার রাতে তাদের বিয়ে বন্ধ করে দেন। এমনকি এসময় উভয় পরিবার বাল্যবিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকারনামাও করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, উপজেলার দধিভাঙা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল হোসেনের মেয়ে জেএসসি পরীক্ষার্থী লীমা আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী বরগুনার বামনা উপজেলার মাহবুবুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেনের বিয়ে ঠিক হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বরপক্ষ ও কাজী পালিয়ে যায়।
অপরদিকে পৌর শহরের সবুজনগর এলাকার লাল মিয়ার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী লাবনী আক্তারের সাথে উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের মো. রাজু মিয়ার সাথে বিয়ের কথাবার্তা হয়। রোববার রাতে লাবনীকে দেখতে বরপক্ষ কনের বাড়িতে আসার খবর পাওয়া গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহায়তায় তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও সাংবাদিক ইসরাত জাহান মমতাজ এর উপস্থিতিতে বিয়ে বন্ধ হয়।
এতে জেএসসি পরীক্ষার্থী লীমা আক্তার ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী লাবনী আক্তার বাল্যবিয়ে থেকে রেহাই পায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজ বরিশালটাইমসকে বলেন, দুই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সেই সাথে ওই দুই পরিবার যাতে আর বাল্যবিয়ের আয়োজন না করতে পারে তার জন্য লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে।”
পিরোজপুর