কলেজছাত্রী প্রেমিকার মৃত্যুর খবরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে পুরনো প্রেমিক জেলার উজিরপুরের গুঠিয়া আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র আল হাদী ওরফে পাভেল সরদার। মঙ্গলবার দুপুরে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, সোমবার সকালে প্রেমিকা বানারীপাড়া ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী নাঈমা নিগার ইসলাম শান্তার (১৭) মৃত্যুর খবর পেয়েই প্রেমিক হাদী বিষপান করে। পরিবারের লোকজনে তাকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে শান্তার মৃত্যু নিয়ে ক্রমেই রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। সে আত্মহত্যা করেছে নাকি হত্যা করা হয়েছে এনিয়ে চলছে আলোচনা। পুলিশও বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। সূত্রমতে, রবিবার সকালে শান্তার পুরনো প্রেমিক উজিরপুরের গুঠিয়া আইডিয়াল কলেজের ছাত্র হাদি বানারীপাড়ায় শান্তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। এ খবর পেয়ে শান্তার পিতা পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মী হুমায়ুন কবির শরীফ ও মামা কামাল খান একটি রেষ্টুরেন্টে তাদের খুঁজে পেয়ে হাদিকে বেদম মারধর করে। এ ভয়ে শান্তা কলেজ থেকে বাসায় ফিরতে বিলম্ব করে। পরে তার (শান্তার) চাচাতো ভাই হোসেন শান্তার মোবাইল ফোনে এসএমএস দিয়ে জানায় ‘তোমার ভয় নেই বাসায় আসো’। ওই এসএমএস পেয়ে শান্তা কলেজ থেকে বাসায় আসার কিছুক্ষন পরেই বাথরুমের ভেন্টিলেটরে ঝুঁলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, বানারীপাড়া পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মী হুমায়ুন কবির শরীফের কন্যা কলেজ ছাত্রী নাঈমা নিগার ইসলাম শান্তার অমতে গত দুই মাস পূর্বে উপজেলার চাখারের বড় ভৈৎসর গ্রামের সাইদুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। সাইদুর রহমান যশোর পাসপোর্ট অফিসে কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত রয়েছেন। বিয়ের পরেও শান্তা তার পুরনো প্রেমিক পাভেলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে।
বিষয়টি রহস্যজনক দাবি করে বানারীপাড়া থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে পাওয়ার পরেই শান্তার মৃত্যুর মুল রহস্য উদ্ঘাটিত হবে। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।