শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সাইদুর রহমান হৃদয় (১৫) এবং সাঈদ দুইজনই এক মেয়েকে ভালোবাসতো। এই ভালোবাসা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাফতরিকে টেকনিক্যাল স্কুলের কয়েক ছাত্র কটাক্ষ করার ঘটনা নিয়েও তাদের মধ্যে নতুন করে সৃষ্টি হয় বিরোধ। এ নিয়ে হাতাহাতির একপর্যায়ে হৃদয়কে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করে সাঈদ ও তার সহযোগিরা।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমীন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ঘটনা তুলে ধরেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসএম রুহুল আমীন জানান- শনিবার সকালে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত অভিযোগে ছয় কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি এবং একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত আরও ২ থেকে ৩ জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কমিশনার এসএম রুহুল আমীন আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা গ্রেফতার সাঈদ, মুরাদ, রাজু, ইমন, নাহিদ ও শান্তকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্কুলছাত্র হৃদয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সাইদুর রহমান হৃদয় গাজীকে পরেশ সাগর মাঠে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে কয়েকজন কিশোর। হৃদয় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চিংগুরিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমান শাহীনের ছেলে। নগরীর জর্ডন রোডে মা-মনি আবাসিক কোচিং সেন্টারে থেকে লেখাপড়া করতো সে।
এ ঘটনায় হৃদয়ের বাবা জিয়াউর রহমান শাহীন বাদী হয়ে শনিবার বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
খবর বিজ্ঞপ্তি, টাইমস স্পেশাল, বরিশালের খবর