বরিশাল: প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে ঢাকায় এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২ বছরের এক কিশোরী। মোবাইল ফোনে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ঢাকার বাসিন্দা আরিফের সঙ্গে। বরিশালের এ কিশোরীর (ছদ্মনাম রেহানা) সঙ্গে বেশ ক’মাস ধরে প্রেম ছলছিল এ যুবকের। প্রেমিক আরিফের আহ্বানে রোববার (১০ জুলাই) বিকেলে কিশোরী বরিশাল থেকে লঞ্চে ঢাকায় আসে।
সদরঘাট লঞ্চঘাট থেকে কিশোরীকে (রেহানা ছদ্মনাম) নিয়ে আসে প্রেমিক আরিফ। সেখান থেকে কিশোরী প্রেমিকাকে (রেহানা ছদ্মনাম) নিয়ে গাবতলীর আমিনবাজারে যায় চাচা রুবেল হোসেনের বাসায়। সেখানে গিয়ে আরিফ চাচা রুবেল হোসেনকে তাদের দু’জনের প্রেমের ঘটনা জানায়। কিশোরী প্রেমিকা (রেহানা ছদ্মনাম) থাকার জায়গা দেয়ার অনুরোধ জানায় চাচা রুবেল হোসেনকে। ঘটনা শুনে রুবেল হোসেন ভাতিজা আরিফকে জানায়, মেয়েটিকে থাকার জায়গা দেয়া সম্ভব নয়, কারণ বাসায় জায়গা নেই।
শুনে নিরাশ হয় আরিফ, পরে চাচার কাছে কিশোরী প্রেমিকাকে রেখে কিছু না বলে সরে পড়ে আরিফ। ভাতিজা না ফেরায় রাতে নিজের ঘরে থাকতে দেয় ওই কিশোরীকে চাচা রুবেল হোসেন। গভীর রাতে কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে দেখতে পায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসিন্দারা রুবেল হোসেনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। পুলিশ ওই কিশোরীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা চলছে কিশোরীর।
কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রচুর রক্তপাত হয়েছে কিশোরীর। অচেতন থাকায় কিশোরীর বাড়ি ও পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। মিরপুর দারুস সালাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। থানার এসআই শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর