রোববার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামছুন নাহারের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন বলে তার আইনজীবী শামসুজ্জামান জানিয়েছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নিম্ন আদালতে দেওয়া জাবেদের দণ্ড বাতিল হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের অনুমতির আবেদন মঞ্জুর করে গত রোববার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।
২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইডেন কলেজের সামনে গাড়িতে ব্যাগভর্তি ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হন ভোলার তৎকালীন সহকারী জজ জাবেদ ইমাম।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিউ মার্কেট থানায় তার বিরুদ্দে মামলা হয়। মামলার পরপরই তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই বিচারক ৩৪২ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল বহন করছিলেন।
২০১৩ সালে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত তাকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়।
এই সাজার বিরুদ্ধে আপিলে ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল ঘোষণা করে জাবেদ ইমামকে খালাস দেয়।
হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১৫ সালে লিভ টু আপিল করে, রোববার যার শুনানি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত জাবেদকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
২০০৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৮ সালের মে মাসে সহকারী জজ হিসাবে চাকরি শুরু করেন জাবেদ ইমাম।
তার গ্রামের বাড়ী ঝিনাইদহ সদরের আমদলিয়ায়।