বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে অবাধে মাছ শিকার, দেশিয় জেলেদের জাল-মাছ লুট ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার শুঁটকি পল্লী থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ আহরণ করে ফেরার সময় জেলেদের ওপর এ হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটে।
এতে শুঁটকি পল্লীর ১১ জেলে আহত হন। এসময় ভারতীয় জেলেরা প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ ও জাল লুট করে নিয়ে যায় বলে আহতরা অভিযোগ করেছেন। দুবলা চরের মাঝের কিল্লা জেলেপল্লীর বহদ্দার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুবলা চরের মাঝের কিল্লা শুঁটকি পল্লীতে অবস্থানরত চট্টগ্রামের বাঁশখালীর লেদু বহদ্দার শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে মুঠোফোনে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মাঝের কিল্লার একটি জেলেবহর ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করে ফিরছিলো।
এমন সময় বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকাররত ভারতীয় ট্রলিং জাহাজের জেলেরা তাদের ট্রলারে হামলা চালায়। ভারতীয় জেলেরা তার এবং মুজাহার বহদ্দারের দুটি ট্রলারের জেলেদের মারধর করে ট্রলারে থাকা মাছ ও ১০-১২টি জাল লুট করে নিয়ে যায়। যার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
আহত জেলেদের মধ্যে রফিক মাঝি (৪৭), মনির হোসেন (৩৬), মোস্তাক (৪০) এবং দুর্বার মাঝির (৫৭) নাম জানা গেছে।
তবে মুজাহার বহদ্দারের ট্রলারের ৭ জেলে আহত হবার খবর নিশ্চিত করলেও তাদের নাম জানাতে পারেননি তিনি। ওইদিন সন্ধ্যায় আহত জেলেদরে দুবলার চরে অবস্থানরত পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে দুবলা মৎস্য পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ফরেস্ট রেঞ্জার) মো. মোকাম্মেল কবির সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গোপসাগরে জেলেদের মারধরের খবর শোনা গেছে। কিন্তু ভারতীয় জেলেদের ঠেকানোর তাদের কোনো ব্যবস্তা নেই।
কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে, খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হবে।’
শিরোনামOther