বরিশাল: মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর ওপর হামলার ঘটনায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ফাহিমের লাশ গোপনীয়তার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সমাদ্দার এলাকায় তার বাবা গোলাম ফারুকের কাছে নিহত ফাহিমের লাশ হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে সদর থানায় আসেন নিহত ফাহিমের বাবা ও মা। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ফাহিমের পরিবারের সাথে কথা বলতে দেয়নি পুলিশ। ফাহিমের মরদেহ কোথায় দাফন করা হবে এ বিষয়ে পরিবারের কাছ থেকে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ফাহিম। এরপর দুপুরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শশাঙ্ক ঘোষসহ ৩ সদস্যের বিশেষ টিম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের সামনে কলেজের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর নিজ ভাড়া বাসায় হামলা চালায় ৩ জন দুর্বৃত্ত। হামলা শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় সময় গোলাম সাইফুল্লাহ ফাহিম (২০) নামে একজনকে আটক করা হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ফাহিমকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফাহিমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।