বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়র দ্বিতীয় দিনে বিজ্ঞান বিভাগের প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রসহ ৬ জনকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকাল ৭টায় নগরীর আরশেদ আলী কন্ট্রাক্টর গলির নাহার ম্যানশন থেকে আটক করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে মহানগর পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুয়ীদুর রহমান প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের হোতাদের বরিশালে এনে তার ভাড়া বাসায় রাখেন।
তাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত সিআইডি’র তালিকাভুক্ত ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র মো. মারুফ হোসাইন মারুফ, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো. আলমগীর শাহিন, গণিত বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র মো. মাহামুদুল হাসান আবিদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ৩ জনই অমর একুশে হলের ছাত্র। অপর ৩জন হলেন গলাচিপা ডিগ্রী কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. সাব্কিবর আহমেদ প্রিতম, মোহাম্মদপুর ডিগ্রী কলেজের বিবিএ ৩য় বর্ষের ছাত্র মো. রাকিব আকন ও বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুয়ীদুর রহমান।
আটক হওয়া ৬ জনের মধ্যে মো. মারুফ হোসাইন মারুফের বাড়ি যশোরে। অপর ৫ জনের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়।
এসময় এদের কাছ থেকে ৫টি ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ব্লুটুথ ইন্ডাকসন (ইয়ারফোন) ৫টি টিএমটি কার্ড ইলেট্রনিক্স ডিভাইস, ১৩টি সীমসহ ১১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কমিশনার বলেন- প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, এই সুক্ষ্ম ডিভাইজের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্ন বাইরে বলা এবং বাইর থেকে উত্তর বলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র মো. মারুফ হোসাইন মারুফ বিষয়ে সিআইডির সাথে যোগাযোগ করা হবে।
আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।”
শিরোনামক্যাম্পাসের খবর, বরিশালের খবর