১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম

বরগুনায় ইউপি সদস্যকে বিবস্ত্র করে মারধরের দায়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:১৮ অপরাহ্ণ, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরগুনার তালতলীতে ইউপি সদস্য জামাল খানকে বিবস্ত্র করে মারধর ও কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দুই সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগী।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগি ইউপি সদস্য জামাল খান মামলাটি করেন।

পরে আদালতে বিচারক মো: আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে (ইউএনও) তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

আসামিরা হলেন তালতলী উপজেলার আবু কালাম, মিজানুর ওরফে টাচ মিজান, বশির উদ্দিন, নাঈম ইসলাম, আল-আমিন, শাহাদাৎ হোসেন, জাফর দফাদার, খলিল, মাসুদ, বেল্লাল, ইব্রাহিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো সাত-আটজন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ৩১ আগস্ট উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল খানের বাড়ির সামনে নিদ্রা স্লুইজঘাট খালে একটি চোরাই ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি ট্রলার নোঙর করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি স্থানীয়রা ইউপি সদস্য জামাল খানকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান।

পরে ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি ট্রলারটি ইউপি সদস্যর জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। এ খবর পেয়ে আসামিরা রাত ১০টার দিকে চোরাই ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি ট্রলারটি অনৈতিকভাবে নেয়ার জন্য টাকার প্রস্তাব দেয়।

এতে রাজি না হলে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আবুল কালাম, মিজানুর রহমান, বশির, সাংবাদিক নাইম ও শাহাদাতসহ তারা বগি, দা, লোহার রড দিয়ে খুনের উদ্দেশে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন ইউপি সদস্যকে। এতে কপালের হাড়ভেঙে গুরুতর জখম হয়।

এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা কাটা-ছেঁড়া রক্তাত জখম হয়। মারধরের একপর্যায়ে ইউপি সদস্যকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করা হয়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় হামলাকারীরা।

এতে জীবনের ভয়ে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতে থাকলে দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা ইউপি সদস্য জামাল খানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা করলে বিবস্ত্র ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয় বাদিকে।

মামলার বাদি জামাল খান বলেন, আমি যাতে মামলা না করি সেজন্য আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে আসামিরা। তবুও আমি সঠিক বিচারের আশায় মামলা করেছি। এখন সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

তিনি আরো বলেন, আমার বিবস্ত্র ভিডিও দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছে ও টাকা চেয়েছে। যদি মামলা না ছেড়ে দেই তাহলে আমার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে আসামিরা। আমি ভয়ে আছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, আমি ছুটিতে আছি। মামলার আদেশ পেলে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়া হবে।

57 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন