বরিশালটাইমস, ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরগুনার বেতাগীতে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গতকাল রোববার রাতে ওই ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার উপজেলার পৌরশহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামীণ ব্যাংক রোড এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নির্যাতনের শিকার ওই নারীর নাম রীতা রানী বসু (৫৫)। তিনি বেতাগী পৌরশহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শিবু লাল বসুর স্ত্রী। দুই বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান। তাঁর দুই ছেলে রয়েছে। তবে তিনি বড় ছেলে শুভ বসু ও তাঁর স্ত্রী জ্যোতি মৃধা বাড়িতে থাকেন। এই দুজনকেই রানী বসুকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রীতা রানী বসুর ছোট ছেলে শোভন বসু বাদী হয়ে শুভ বসু ও তাঁর স্ত্রী জ্যোতি মৃধাসহ চারজনের নামে বেতাগী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন জ্যোতি মৃধার মা নীলা রানী মৃধা এবং বাবা সুভাষ মৃধা।
প্রতিবেশীরা জানান, রীতা রানীর স্বামী শিবু লাল বসু মারা যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে বড় ছেলে শুভ বসু স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মা–রীতা রানীর ওপর নির্যাতন চালাতেন। ঘটনার দিন বুধবার দুপুরে জমির দলিল ও স্বর্ণালংকার চাইলে শাশুড়ির সঙ্গে পুত্রবধূ জ্যোতি মৃধার বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে ছেলে ও পুত্রবধূ মিলে বৃদ্ধা রীতা রানীকে ব্যাপক মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে রীতা রানীর ছোট ছেলে শোভন বসু তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শোভন বসু বলেন, ‘আমার বাবার মৃত্যুর পর থেকেই জমি নিজেদের নামে লিখে নিতে এবং স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করতে বড় ভাই এবং তার স্ত্রী মিলে আমার মাকে দফায় দফায় নির্যাতন করত। কিন্তু পরিবারে অশান্তি তৈরি হবে ভেবে আমার মা কখনো আমাকে এসব বিষয় জানায়নি। তবে এবার নির্যাতন সইতে না পেরে মা আমাকে সব কথা জানিয়েছেন। আমি আমার মায়ের নির্যাতনের বিচার চাই।’
বেতাগী থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বৃদ্ধা রীতা রানীকে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার কর হয়েছে। তাদের আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। ঘটনার পর থেকে অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাঁদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।