বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯:২৫ অপরাহ্ণ, ২৮ জুন ২০১৬
এরপর আদালতের নির্দেশে দিল্লিতে সনুর বাবা-মায়ের সাথে তার ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। সে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল মিলে যাওয়ার পর এখন শিশু সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় দেওয়া হলো।
সনুকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার ঘটনায় বরগুনার আদালতে এখন মানবপাচারের একটি মামলা বিচারাধীন আছে। আদালত শর্ত দিয়েছেন যে, মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য শিশু সনুকে যখন প্রয়োজন হবে তখন যেন তাকে হাজির করানো হয়।
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারী কৌঁসুলি আক্তারুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, আদালত প্রথমে শর্ত দিয়েছিল, যাতে মামলার সাক্ষীর প্রয়োজনে শিশু সনুকে আদালতে হাজির করাতে ভারতীয় হাইকমিশন ‘বাধ্য’ থাকে। কিন্তু এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়। এরপর আদালত সংশোধিত আদেশে বলে প্রয়োজনে ভারতীয় হাইকমিশন শিশু সনুকে আদালতে হাজির ‘নিশ্চিত’ করতে পদক্ষেপ নেবে। শিশু সনু দিল্লি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল নাকি তাকে পাচার করে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল, সে বিষয়টি এ মামলার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে।
গত মে মাসে সনু বিবিসিকে জানায়, পাঁচ বছর আগে এক মহিলা তাকে নিয়ে আসে বাংলাদেশে। দিল্লিতে সনুর মা তার সন্তান ‘হারানোর’ ঘটনায় বাংলাদেশি নারীকেই অভিযুক্ত করেছেন।
সনুর এ ঘটনার সাথে হিন্দি সিনেমা ‘বজরঙ্গী ভাইজান’-এর ঘটনার সাথে অনেকে মিল পাচ্ছেন।