বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৬:০৫ অপরাহ্ণ, ১১ অক্টোবর ২০১৬
বরগুনার সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী আব্দুল কাইউম ও তালতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: মনির এর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়মসহ বেআইনী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন জেলার তালতলী উপজেলার মেনিপাড়া গ্রামের মো: ওবায়দুল ঘরামী নামে এক ভুক্তভোগী।
ওবায়দুল ঘরামী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীদের সাথে তাদের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত ২৭ মে প্রতিপক্ষরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ওবায়দুলের বাবা আব্দুর রহমান ঘরামী এবং ভাই আল-আমিন গুরুতর জখম হয়। পরে তাদের তালতলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ৩০মে তালতলী থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন ওবায়দুল। অন্যদিকে ওবায়দুলের দাবি, প্রতিপক্ষরা মামলা থেকে রেহাই পেতে নিজেরা ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা নিতে রাজি না হওয়ায় গত ২ জুন তারিখে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন এবং আদালতের বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য তালতলী থানার অফিসার ইন-চার্জকে নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল আরও অভিযোগ করে বলেন, গত ২২ আগষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনির থানায় ডেকে তাদের জানান, মামলায় বিচার পেতে হলে সার্কেল এসপিকে টাকা দিতে হবে এবং তাকেও (মনিরকে) ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে। সে অনুযায়ী তারা ২৩ আগষ্ট সার্কেল এসপির বরগুনা অফিসে গিয়ে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। এ সময় সার্কেল এসপি বলেন, তোমরা বাড়ি গিয়ে বসে থাকো। কিন্তু ঘুষের টাকা দেয়ার পরও আসামিদের নিকট প্রভাবিত হয়ে অন্যায় ভাবে লাভবানের উদ্দেশে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের দেয়া মিথ্যা মামলায় চার্জসিট দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল। অথচ তাদের করা মামলায় চার্জসিট দেয়নি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে চার্জসিট দেয়া হয়েছে, মুলত তারাই হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।
বরগুনার সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী আব্দুল কাইউম এ ব্যাপারে বলেন, ওখানে দুটি মামলা হয়েছে, তার মধ্যে একটি মামলায় চার্জসিট হয়েছে এবং অন্য মামলাটিতেও চার্জসিট হবে। অতএব এখানে ঘুষ লেনদেন করার কোন প্রশ্নই আসে না। এসব অভিযোগের কোন সত্যতা নাই বলেও তিনি জানান।