১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরগুনায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাব বরিশালে, ভোগান্তি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মহাসড়কে মাহেন্দ্র, অটোরিকশা চলাচল বন্ধ ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার বাস শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে বরগুনায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতির ডাকা ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা।

বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন,- ১৩ ফেব্রুয়ারি মহাসড়কে যান চলাচল নিয়ে মাহেন্দ্র, অটোরিকশা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসেন তাঁরা। ওই বৈঠকে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এসময় মাহেন্দ্র, অটোরিকশা শ্রমিকরা চারটি বাস ভাঙচুর করেন। বাস শ্রমিকরা এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জন শ্রমিককে আটক করে। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমতলীতে একটি বাসে আগুন দেয় মাহেন্দ্র-অটোরিকশা শ্রমিকরা।

যতোদিন মহাসড়কে মাহেন্দ্র, অটোরিকশা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ না হবে এবং গ্রেফতার বাস শ্রমিকদের মুক্তি দেয়া না হবে ততোদিন পরিবহন ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা।

এদিকে বরগুনায় বাস ধর্মঘটের কারণে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ৮ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।  পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বরগুনা ও পটুয়াখালীর বাস মালিক সমিতির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের আটটি রুটে কোনো বাস চলাচল করছে না।

এর ফলে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কপথে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সঙ্গে সড়ক পথে বাস যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গের ওই আটটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপাতলীর বাস শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক মো. সেলিম।

বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কাওসার হোসেন শিপন জানান- ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় বরিশাল-পটুয়াখালী ও কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের আমতলী চৌ-রাস্তায় থ্রি-হুইলারের (মাহেন্দ্র-অটোরিকশা) শ্রমিক ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অটোরিকশা শ্রমিকদের হামলায় একজন বাস মালিক ও চার-পাঁচজন শ্রমিক আহত হন। পরে পুলিশ সেখান থেকে ১৭ জন শ্রমিককে আটক ও মামলা দেয়।

এ ঘটনার পর পটুয়াখালী ও বরগুনা বাস মালিক সমিতি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ, আটকদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। যেখানে বরিশালের বাস মালিক সমিতিও একাত্মতা প্রকাশ করে।

১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো সমাধান না হওয়ায় ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে বাস ধর্মঘট চলছে। এতে বরিশাল থেকে আটটি রুটের ২০০ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচল করছে। এতে দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। আর আমাদের চালকরা মামলার সম্মুখীন হচ্ছেন।

18 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন