বরগুনায় অপহরণ মামলায় রবিউল ইসলাম মামুন নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে এক স্কুল শিক্ষিকাসহ অপর তিনজনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার অন্য তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুলফিকার আলী এ রায় দেন।
দণ্ডিতদের মধ্যে বরগুনার কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুর রব এর ছেলে মো. রবিউল ইসলাম মামুন (২৮) কে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০৩ এর সাত ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৯ এর এক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে মামুনের বড় বোন ইরানি বেগম (৩৩) ও তার স্বামী চরকলোনী এলাকার বাসিন্দা মো. খবিরের ছেলে মোঃ বাদল (৩৭) এবং মামুনের বন্ধু পিটিআই রোডের বাসিন্দা মোঃ কালামের ছেলে মোঃ রুবেল (২৮) কে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর সাত ও ৩০ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ইরানি বেগম বরগুনার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৭ মে বরগুনার ডিকেপি রোডের বাসা থেকে এক তরুণীকে তার মা অসুস্থ বলে বাসা থেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই তরুণী। এ ঘটনায় অপহৃত তরুণীর বাবা বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে বরগুনা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার তিন মাস পরে ঢাকার পল্লবীর একটি বাসা থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানান, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতেও এ রায় অপরিবর্তীত থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
টাইমস স্পেশাল, বরগুনা