বরগুনার পাথরঘাটায় মো. আসাদুল্লাহর (২৫) নামের এক ছাত্রদল নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাথরঘাটা পৌরসভা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গণি হাওলাদারের বাড়ির সামনে সন্ত্রাসী আতুর বাহিনীর প্রধান সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগ এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
হামলার শিকার আসাদুল্লাহ ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। বিকেল ৩টার দিকে মেজবান খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটানো হয়।
আসাদুল্লাহকে প্রথমে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইদ্রিস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল করিম, নিজাম আকন, জামাল কাজীসহ অনেকে বরিশালটাইমসকে জানান, সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গণি হাওলাদারের মৃত্যুবার্ষিকীর মেজবান অনুষ্ঠানে এলাকার অনেক মানুষ আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত হন। মেজবান শেষে আবদুল্লাহ নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোহাগ বাহিনীর প্রধান সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগ ও তার সহযোগী রুবেলসহ কয়েকজন আসাদুল্লাহর ওপর হামলা চালায়।
এ সময় তারা ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতারি আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আসাদুল্লাহ। পরে তারা ডান পায়ের রগ কর্তন করে। ছুরির আঘাতে পেটের ভুড়ি শরীরের বাইরে বের হয়ে যায়। ওই সময় মেজবান অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজন দিক এদিক ওদিক ছুটাছুটি করে চলে যায়। পরে জামাল কাজীসহ প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আসাদুল্লাহকে পাথরঘাটা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অনবতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. আনোয়ার উল্লাহ বরিশালটাইমসকে বলেন, শরীর থেকে অবিরাম রক্ত ঝরছে। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের অধিকাংশই কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে বলে অনুমান করছেন তিনি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহম্মেদ বরিশালটাইমসকে জানান, সোহাগ একাাধিক মামলার আসামি। তাকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।”
শিরোনামOther