বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯
সাইদুল ইসলাম রিমন::: বরগুনা জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পঞ্চমবারের মতো বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনার তালতলী উপজেলার নয়নাভিরাম শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে উদযাপিত হয়েছে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জ্যোৎস্না উৎসব। এ উৎসবে প্রধান প্রতিপাদ্য ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের শপথ গ্রহণ। এই জ্যোৎস্না উৎসব আয়োজন করে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
উৎসবে অর্ধ লক্ষাধিক জ্যোৎস্নাপ্রেমি অংশ নেন। বরগুনার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর যেখানে সাগরে মিশেছে ঠিক সেখানেই তালতলী উপজেলার স্নিগ্ধ বেলাভূমি শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত। একদিকে সীমাহীন সাগর, আরেকদিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট টেংরাগিড়ি। সবমিলিয়ে নদ-নদী আর বন-বনানীর এক অপরূপ সমাহার- শুভসন্ধ্যা সৈকত। জেলার আমতলী ও পাথরঘাটা উপজেলা থেকেও একাধিক লঞ্চে করে উৎসবে যোগ দেন কয়েক হাজার মানুষ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বরগুনা নৌবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় বরগুনার নয়নাভিরাম সৌন্দর্যকে দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে প্রতিবছর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। দুপুর আড়াইটায় শুভসন্ধ্যা পৌঁছে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বরগুনা-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এরপর উম্মুক্ত সৈকতে দলীয় নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ উৎসবকে ঘিরে আয়োজন করা হয় দেশীয় খেলাধুলা, বাউল গান, পুঁথি পাঠ, পুতুল নাচ, যাদু প্রদর্শনী, যাত্রাপালা, হয়লা গান, রাখাইন নৃত্যসহ আনন্দ বিনোদনের নানা কর্মসূচি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে এবং দিপালী ভাসিয়ে এ উৎসবের সমাপনী ঘোষণা করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। উৎসব উপলক্ষে শুভসন্ধ্যা সৈকতকে বর্ণাঢ্য সাজসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। উৎসবস্থলকে ঘিরে নেয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।