বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯:২৫ অপরাহ্ণ, ১০ জুন ২০১৭
বরগুনা সদর উপজেলার সোনাখালী এলাকার ইউপি সদস্য মাইনুদ্দিন ময়না। ২০০৫ সালে এক একর পতিত জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ৮৫টি আম গাছ রোপন করে আমের বাগান শুরু করেন ময়না। তিন বছর পর ফল ধরে গাছে। ওই সময় তিনি বিক্রি করেন প্রায় ৪লাখ টাকা।
আমে লাভ বেশি দেখে ২০১২ সালে আরেকটি আমের বাগান করেন। সেখানে ১২০টি আম গাছ রোপন করেন। মোট ২একর জমিতে এখন প্রতি বছর আম বিক্রি করছেন প্রায় ১০ লাখ টাকার।
এবছর আরেকটি আমের বাগান করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এ আম চাষি। সারা বছর এই বাগানে আম পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান। বাগানে রয়েছে সু-স্বাধূ আম আমপালী, হিমসাগর, মল্লিকা ও চোষা।
জেলায় এ বছর মৌসুমী ফল আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন প্রকার আমের মৌ মৌ গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে পুরো গ্রামজুড়ে।
বরগুনার বিভিন্ন হাট বাজারে নানা ধরনের রসালো মৌসুমী ফলের সয়লাব থাকলেও স্থানীয় এই আমের চাহিদা অনেক বেশি বলে জানা গেছে। বাজারে আমের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি থাকলেও ময়নার এ আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে।
এ কারণে আম চাষে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের ইউপি সদস্য মো. মাইনুদ্দিন ময়না। ইউপি সদস্যের পাশাপাশি তিনি কৃষিতে ব্যাপক সারা জাগিয়েছেন এলাকায়। তার খামারে রাসায়নিক মুক্ত আম পাওয়া যাচ্ছে।
বাগানের মালিক মাইনুদ্দিন ময়না সাংবাদিকদের বলেন- বরগুনা কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমি প্রথমে আমার পতিত জমিতে আমের বাগান করি। তিন বছরের মাথায় প্রতিটি আম গাছে ফল আসে। আমি এখন সফল আম চাষি।
প্রতি বছর গড়ে অন্তত ১০ লাখ টাকার আম আমার বাগান থেকে বিক্রি করছি। এক একর জমিতে যে পরিমান ধান হয় তার চেয়ে আম চাষে অনেক বেশি লাভ বলে জানান মাইনুদ্দিন ময়না।
আম বাগানে কথা হয় কয়েকজন ক্রেতার সাথে। তারা বলেন, বাজারে ফরমালিন যুক্ত আম থাকার কারণে আমরা বেশি টাকা দিয়ে হলেও এই বাগানের আম কিনছি।
আম বাগানে দেখা হয়- বুড়িরচর ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছিদ্দিকুর রহমানের সাথে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শুধু বরগুনায় না বরিশাল বিভাগে এরকম একটি আমের বাগান নেই। বিভিন্ন প্রজাতির সু-স্বাধু আম এই বাগানে রয়েছে। কিটনাশক মুক্ত থাকার কারণে আমের চাহিদা অনেক বেশি আমাদের এলাকায়। তিনি আরো বলেন- একটি পরিবার স্বাবলম্বী হতে এরকম একটি বাগানই যথেস্ট।
বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. তৌহিদ সাংবাদিকদের বলেন, কৃষি বিভাগের পরার্মশে মাইনুদ্দিন ময়না আমের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের বাগান গড়ে তুলেছে। সদ্য মৌসুমে উপযুক্ত আবহাওয়ার কারণে মৌসুমী ফলের প্রচুর ফলন এসেছে। আমরা আসা করছি প্রতিটি পরিবার তাদের পতিত জমিতে আমের চাষ করবে। আমরা প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করবো।”