টাকা না দেয়ায় বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে বই পায়নি বরগুনার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী। এতে ক্ষুব্ধ গরীব অসহায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক। অবশ্য জেলা প্রশাসক বলছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার (০১ জানুয়ারি) সকালে জেলা শিক্ষা অফিসার গুদিঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই দিতে আসলে, বিতরণে টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন অভিভাবক। তাদের কথার কর্ণপাত না করেই শিক্ষকদের মনোনীত শিক্ষার্থীদের বই দিতে থাকেন তিনি।
এ সময় তার সামনেই অভিযোগকারী অভিভাবক ও সময় সংবাদের প্রতিবেদকের ওপর চড়াও হয়ে ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টা করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি রিপন।
গুদিঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রিপন বলেন, ‘এই ঘটনায় কোনো ফ্যাক্টর বলে কিছু নেই। তুমি যদি কিছু করতে পারো করো।’
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রাইভেট না পড়লে পাস করা যায়না আর টাকা ছাড়া বই দিচ্ছেননা শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমি বই আনতে গেছি, আমার কাছে ৭শ’ টাকা চেয়েছে। টাকা না দিলে বই দেবে না আমাকে। আমি স্কুলে গেছিলাম কিন্তু টাকা না দিতে পারায় বই দেয় নাই। পরীক্ষার আগে স্যারেরা কয় প্রাইভেট পড়লে পাস করবে আর না পড়লে করবে না।’
অভিভাবকরা বলেন, বই কেনার যদি তৌফিক থাকতো তাইলে সরকারি স্কুলে কেনো দিলাম।
বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলছেন, অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তবে যারা উপস্থিত ছিল তাদের সবাইকেই বই দেয়া হয়েছে। আর প্রধান শিক্ষকের দাবি কোন টাকাই চাননি তিনি।
বরগুনা গুদিঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যারা ছিলো তাদের সবাইকে বই দেয়া হয়েছে। আমার জানা মতে কেউ ফিরে যায়নি।’
অবশ্য বরগুনা জেলা প্রশাসক মোখলেছুর রহমান জানালেন, টেলিফোনে অভিযোগ শুনে শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলেন। আর বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরে জেলা শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো হয় উল্লেখিত বিদ্যালয়ে। তিনি বিষয়টা দেখছেন। এই বিষয়ে সত্যতা থাকলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গুদিঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪শ শিক্ষার্থী রয়েছে। অনেকের দাবি, তাদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৫শ ও সর্বোচ্চ ৭শ টাকা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।’
বরগুনা