বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
উপকূলীয় এলাকায় আরও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সিডর ২০০৭ সাল পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মূল্যায়নে গঠিত উপকূলীয় এলাকায় আরও দুই হাজার ৯৭টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে।
যার মধ্যে এক হাজার ৭২টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা কমিশন নির্দেশ দিয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে আরও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৮৮ কোটি টাকা।
জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ মেয়াদে এগুলো নির্মাণ করা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের সময় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ আশ্রয়, গবাদিপশু এবং গৃহস্থালীর মূল্যবান সম্পদ দুর্যোগের ক্ষতি থেকে রক্ষায় এ উদ্যোগ। দুর্যোগ পরবর্তী এবং স্বাভাবিক সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা ও অন্যান্য জনহিতকর কার্যক্রম সম্পন্ন করা, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণকালীন সময়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাময়িক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
সরকারে অর্থায়নে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১৬টি জেলার ৮৬টি উপকূলীয় উপজেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি-২) মোহসীন বলেন, আমাদের দেশে বার বার নানা ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হলে আমাদের পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানো আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আশ্রয়কেন্দ্র আরও বেশি নির্মাণ করলে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমে যাবে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা প্রায় পাঁচ হাজার। সেই কৌটা পূরণের লক্ষ্যেই আমরা আরও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছি। আশা করছি যথাযথ সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবো।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিটা আশ্রয়কেন্দ্র তিন তলা বিশিষ্ট মোট আয়তন ৭৩৯ দশমিক ৫০ বর্গমিটার। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এ সব আশ্রয়কেন্দ্র দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একইভাবে দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হবে।