বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেড়িতে হলেও জমে উঠছে বরিশাল নগরীর কোরবানির গবাদি পশুর হাট। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নগরীতে ৯টি হাটের অনুমোদন দিলেও মেট্রোপলিটন এলাকায় রয়েছে মোট ২১টি গরুর হাট। হাটেগুলোতে পর্যাপ্ত দেশিয় গরু থাকায় কোন সংকটের সম্ভাবনা নেই।
এছাড়া এ বছর গরুর কোন রোগ বালাই নেই। তবে হাটে ভারতীয় গরু না থাকায় দাম একটু বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। বরিশাল প্রানী সম্পদ দফতর সূত্রে জানা যায়, বরিশাল বিভাগে ২লাখ ৩৪ হাজার ৬শ ৮২টি গরু মজুদ আছে । গত বছর বিভাগে ৪০ হাজার গরু কোরবানি হয়েছে। এবছর ৪৫ হাজার গরু কোরবানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। গবাদি গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, দেড়িতে হলেও শুক্রবার থেকে জমে উঠেছে পশুর হাটগুলো।
স্থানীয় গরুর পাশাপাশি কুষ্টিয়া, যশোর, বাগেরহাট, স্বরুপকাঠি ও ঝালকাঠি এলাকা থেকে গরু আসছে বরিশালের হাটগুলোতে। পাইকারী ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক ভর্তি করে হাটগুলোতে গরু আনছেন। এছাড়া খুচরা পাইকাররা গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে গৃহস্থের গরু ক্রয় করে হাটে নিয়ে আসছেন বিক্রির জন্য। হাটে ভারতীয় কোন গরু নেই। হাটগুলোতে ৫০ থেকে ৮০ হাজারের মধ্যে গরু বিক্রি সবচেয়ে বেশি।
এখানে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যে গরু রয়েছে এবং সর্বনিম্ম ২৫ হাজার টাকার গরু পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভারতীয় গরু না থাকায় দাম একটু বেশি বলে মনে করছেন কয়েক ক্রেতা। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় হাটগুলোতে রয়েছে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের টহল দল। রয়েছে জাল নোট সনাক্তকরণ মেশিন। নগরীর আমানতগঞ্জ গরুর হাটে আসা ক্রেতা মোজাম্মেল হোসেন জানান, ব্যবসায়ীরা গরুর মূল্য বেশি হাঁকাচ্ছে।
তবে দর দাম করলে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কমে গরু কিনা যায়। গরু ক্রয় করতে আসা আলাউদ্দিন জানান, গেল বছরের তুলনায় গরু প্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে তিনি মনে করেন শেষ মূহুর্তে গরুর দাম কমবে। গরু ব্যবসায়ী রফিক বলেন, গ্রামের গৃহস্থদের নিকট থেকে ৭টি গরু কিনে এনেছি। ক্রেতারা কেনা দামও বলছে না। এ অবস্থা থাকলে এবছর লোকসান দিতে হবে। বরিশাল প্রানী সম্পদ বিভাগের উপ পরিচালক লাল সাহা জানান, বিভাগে কোরবানি দেওয়ার মতো গরু মজুদ আছে এবং ভারতীয় গরুর প্রয়োজন হবে না।
আমরা অত্যন্ত তৎপর আছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের মেডিকেল টিম এবং বাজার পরিদর্শনকারী টিম হাটগুলোতে অবস্থান করছে। অসাধু ব্যবসায়ী গরু ইনজেকশনের মাধ্যমে মোটাতাজা করণ পদ্ধতিতে যাতে মুনাফা করতে না পারে, তার জন্য প্রানী সম্পদ বিভাগ ও পুলিশ প্রশান তৎপর রয়েছে।