১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বরিশালের সৌন্দর্য অনেক গুণ বাড়িয়ে তুলবে ‘ফুল সরণি’

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪১ অপরাহ্ণ, ১৫ জুলাই ২০১৭

বরিশাল শহরের উপকণ্ঠ কর্ণকাঠিতে ফুলের সরণি নির্মাণের লক্ষ্যে ফুলের গাছ লাগিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। উৎসবমুখর পরিবেশে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হিরণ পয়েন্ট থেকে চরকাউয়া পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার জায়গায় তিন হাজার ফুলের গাছ লাগানো হয়।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় কর্মসূচি শুরু হয়। ওই অভিযানের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বরিশাল ফুল সরণি বিনির্মাণ অভিযান’ নাম দিয়ে ফুলের গাছ লাগানোর কর্মসূচিটি দেশে এই প্রথম। পরিবেশ সচেতনতায় ফুলের সরণি নির্মাণে সাধারণ মানুষের স্বত‍ঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই বলে দিয়েছে এটা নেহাত ভালো উদ্যোগ।

বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুলের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সিটি করপোরেশনসহ ৯৬টি এনজিও এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এতে ৪৮টি গ্রুপে ভিভক্ত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ গাছ লাগান।

দিনভর এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিবেশ বিষয়ক গান পরিবেশন করা হয়।

বরিশাল জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল গাছ রোপণ করে সড়কটিকে রঙিন ফুলে ভরিয়ে তোলার জন্যই এ কর্মসূচি।

চারা রোপণের তিন বছরের মধ্যে মহাসড়কের ওই অংশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ স্থান হয়ে উঠবে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম ফুল সরণির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের জানা মতে সারাদেশে এ ধরনের আয়োজন এই প্রথম। এ সড়কে ফুলের গাছ লাগানোতে সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

বরিশাল জেলা প্রশাসন পরিচালিত বরিশাল-সমস্যা ও সম্ভাবনা ফেসবুক গ্রুপের সদস্য’র প্রস্তাবে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার এলাকায় ফুলের গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়।

গত ৩১ মে থেকে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে গত ১ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত চারা সংগ্রহ ও মহাসড়কের দুই পাশে গর্ত করা হয়। শনিবার বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠিতে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশের দুই পাশে ফুলের গাছ লাগানো শুরু হয়।

গাছের চারা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ ফুল সরণি নির্মাণের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্বেচ্ছায় এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আগে থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং নগরীর তিনটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, দুইটি ইউনিয়ন পরিষদসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।”

30 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন