বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সুলতান হোসেন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- নেয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম মৃধা, শেখ জসিম, ফয়সাল হাওলাদার, জহিরুল ইসলাম, সোহেল খান, ইব্রাহীম, কামরুল ইসলাম এবং বশির হাওলাদার।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে বরিশাল পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল মহেষপুর বাজার পরিদর্শন করেছেন। ওই সময় তিনি স্থানীয় লোকজন প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে হামলা ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন।
গুলিবিদ্ধ সৈয়দ সুলতান বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাসা উপজেলার মহেষপুর এলাকায়। বর্তমানে তিনি শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার রাতে সুলতান হোসেন এবং নেয়ামতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিমল সাহা মহেষপুর বাজারের চায়ের দোকানে বসে কথা বলার পাশাপাশি চা পান করছিল।
ওই সময় একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধরের পাশাপাশি সুলতানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুলতান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
হামলায় আহত নেয়ামতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিমল সাহা অভিযোগ করেন- বিএনপি নেতা ছালাম সিকদারসহ মুখোশধারী ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী সেখানে গিয়ে তাদের মারধর করতে থাকে। মারধরের একপর্যায়ে তিনি পড়ে গেলে সন্ত্রাসীরা সুলতানকে গুলি করে।
এতে সুলতান রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলের চিকিৎসক শাহে আলম বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন, সুলতানের পেটের মাঝামাঝি স্থান থেকে গুলি বের করা হয়েছে। তার শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে।
তবে এই হামলায় বিএনপির সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন খান বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের দ্বন্দ্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অহেতুক বিএনপি নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের পুলিশ গ্রেফতার না করে বিএনিপ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালানোর কারণে সেখানকার বিএনপি নেতা-কর্মীরা এলাকা ছাড়া হয়েছেন।
তিনি সত্যিকার ঘটনা উদঘাটন করে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আজিজুর রহমান বরিশালটাইমসকে জানান, ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাকীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তারাও এ মামলায় আসামি হবে। তাছাড়া এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একই সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি বলেন- ঘটনায় জড়িতদের আটক করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে কে কোন দল করে আমার জানা নেই।’
শিরোনামবরিশালের খবর