বরিশাল: আগৈলঝাড়া উপজেলায় ঘুষের বিনিময়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক যুবককে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় ওসির নির্দেশ তামিলকারী এএসআই শাহাবুল রহমানকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়েছে। আর ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিযুক্ত ওসি মনিরুল ইসলাম রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিন তদন্তে অভিযোগ পাওয়ার পরও রাতে শাহাবুলকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করেন।
বুধবার সকালে এএসআই শাহাবুল পুলিশ লাইনসে যোগ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ঘুষের বিনিময়ে যৌন হয়রানির অপরাধীকে ছেড়ে দেয়ার খবর প্রকাশিত হলে সরেজমিন তদন্তে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ আজাদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অভিযুক্ত ওসি মনিরুল ইসলাম।
অভিযোগকারী উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের কবির ফকিরের স্ত্রী সুফিয়া বেগম একই এলাকার চৌকিদার শাহ আলম ফকিরের বখাটে ছেলে আল-আমিন ফকিরের বিরুদ্ধে তিনিসহ তার দুই মেয়েকে যৌন হয়রানির বর্ণনা করেন।
ওসির সামনে সুফিয়া জানান- মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে আল-আমিনকে আটকের পর ওসি ছেড়ে দিয়েছেন। সেখানে উপস্থিত স্বপন মৃধার স্ত্রী মাহামুদা পুতুল আল-আমিনের যৌন হয়রারি শিকারের বিষয়টি তুলে ধরেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মোল্লা আজাদ ফিরে গিয়ে ওসির বদলে এএসআই শাহাবুলকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ আজাদ বলেন- তদন্ত এখনও চলমান। শিগগিরই পুলিশ সুপারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এএসআই শাহাবুলকে ক্লোজড করার ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য- গত ৩১ ডিসেম্বর যৌন হয়রানির অভিযোগে ওসির নির্দেশে আল-আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান এএসআই শাহাবুল। রাতে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে ওসি মনিরুল অপরাধী আল আমিনকে ছেড়ে দিলে স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়।
টাইমস স্পেশাল, বরিশালের খবর