বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৭:০০ অপরাহ্ণ, ২৩ নভেম্বর ২০১৭
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় যুবলীগ কর্মীদের হামলায় নিহত কলেজছাত্র সাকির গোমস্তার (১৭) স্বজন ও সহপাঠীরা আসামিদের বাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুর চালিয়েছে।
এ সময় তারা আসামিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, নিহত কলেজছাত্র সাকির গোমস্তার স্বজন, সহপাঠী ও ছাত্রলীগ কর্মীসহ শতাধিক লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আশোকাঠি এলাকায় মামলার এজহারভুক্ত আসামি যুবলীগ কর্মী ইলিয়াস গোমস্তা, মজিবর গোমস্তা ও সোহেল গোমস্তার বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় তারা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। সেই সঙ্গে তারা সুমনের দোকানে ভাঙচুর করে। পরে তারা শাকিল গোমস্তা নামে এক যুবককে মারধর করে আহত করে। একপর্যায়ে আসামিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায়।
এদিকে, ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে নিহত কলেজছাত্র সাকিরের লাশ বুধবার রাতে গৌরনদীর বাড়িতে এসে পৌঁছে। রাতেই তার দাফন সম্পন্ন হয়।
গত মঙ্গলবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাকিরের মৃত্যু হয়। নিহত সাকির উপজেলার আশোকাঠি গ্রামের আইয়ুব আলী গোমস্তার ছেলে ও পালরদী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স বেপারী নিহত সাকিরকে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে হামলাকারীরা উপজেলা যুবলীগের সক্রিয়কর্মী বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে নিহত সাকিরের মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে ৬জনের নামোল্লেখসহ ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা করেন।
গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, মামলার তিন আসামির বাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুর চালায় নিহত কলেজছাত্রের স্বজন ও সহপাঠীরা।
এছাড়া তারা একটি দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় তারা আসামিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।