বরিশালটাইমস, ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৯ অপরাহ্ণ, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশালের ইতিহাসে সর্বকালের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে কাঁচা মরিচের দামে। সংসারে প্রতিদিনকার অতি জরুরি পণ্য এই কাঁচা মরিচের কেজি বরিশালের খুচরা বাজারে ঠেকেছে ৫০০ টাকায়। আর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। অর্থাৎ পাইকারি ও খুচরা বাজারের দামে ব্যবধান ১০০ টাকা।
সবজি বিক্রেতারা জানান, বরিশালে এর আগে কখনো কাঁচা মরিচের কেজি ৫০০ টাকা হয়নি-সে হিসাবে এই মূল্য বরিশালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তিনি আরো জানান, খুচরা বাজারে দুদিন ধরে প্রকারভেদে কাঁচা মরিচ ৫০০ টাকায় কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও পাইকারি বাজারে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।
বরিশাল সিটি মার্কেটের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী আমিনুল জানান, তিনদিন আগে ৪০০ টাকা পর্যন্ত কাঁচা মরিচের দর উঠেছিল তাদের বাজারে। তবে গতকাল থেকে তা আবার কমতে শুরু করে।
যার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে ৩২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। যদিও এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে কিনা সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে নগরীর বাংলাবাজার এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকালে কাঁচা মরিচ কিনে ক্রেতা হাবিবা বলেন, আমতলার মোড়ে ভ্যানে কাঁচা মরিচের দাম জিজ্ঞাসা করেছি, তারা আড়াইশ গ্রাম ১২৫ টাকা অর্থাৎ কেজি ৫০০ টাকা দাম চেয়েছে। পরে বাংলা বাজার এসে দেখি সেখানেও আড়াইশ গ্রাম কাঁচা মরিচ ১২৫ টাকা। পরে ব্যধ্য হয়ে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে কিনেছি।
বরিশাল সিটি মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম দুলাল জানান, সাম্প্রতিক উত্তরাঞ্চলে বন্যা ও দেশজুড়ে প্রবল বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাজারে চাহিদার থেকে সবজির আমদানি চলতি মাসজুড়েই কম রয়েছে। আর এ কারণে চলতি মাসেই কয়েক দফায় পাইকারি বাজারে সবজির দর বেড়েছে। যার প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল জেলার সহকারী পরিচালক সুমি রাণী মিত্র বলেন, খুচরা বিক্রেতারা পাইকারী বাজার থেকে ৪২৫ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনেছে। তারা আমাদের ক্রয়ের মেমো দেখিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ভোক্তাঅধিকারে দেখার বিষয় হলো ক্রয়ের দামের চেয়ে ২৫% এর বেশি দামে বিক্রি করে কিনা। কেউ যদি ক্রয়ের ২৫% এর বেশি দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।