১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বরিশালে কয়েক হাজার পরিবারে পালিত হচ্ছে ঈদ উল ফিতর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৩০ অপরাহ্ণ, ১৫ জুন ২০১৮

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে আজ শুক্রবার (১৫ জুন) বরিশালের অর্ধশত গ্রামে উদযাপন করা হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আজ শুক্রবার চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ উদযাপন করবে দেশের বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এক দিন আগে চাঁদ দেখা যাওয়ায় শুক্রবার ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। আর তাদের সঙ্গে মিল রেখে বরিশালের কয়েকটি জেলার অর্ধশত গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। বরিশাল শহরের টিয়াখালী, বাবুগঞ্জ উপজেলায়, পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুরের বেশ কয়েকটি গ্রামে উদযাপন করা হচ্ছে।

বরিশাল: শুক্রবার (১৫ জুন) বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার তিনটি জামাতের মধ্যে প্রধান ও বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় ২৩নং ওয়ার্ডের ‘তাজকাঠি জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ’ প্রাঙ্গণে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল আলীম।

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর ২২টি গ্রামের পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার আজ শুক্রবার (১৫ জুন) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। সকাল ৯টায় পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের বদরপুর দরবার শরিফ প্রাঙ্গণের বদরপুর দরবার শরিফ জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামাতের ইমামতি করেন দরবার শরিফের ইমাম শফিকুল ইসলাম গনি।

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের বদরপুর দরবার শরিফের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুস সায়াদাত আখন্দ বলেন, এ বছর জেলার সদর উপজেলার বদরপুর ও ছোট বিঘাই; গলাচিপা উপজেলার সেনের হাওলা, পশুরিবুনিয়া, নিজ হাওলা ও কানকুনিপাড়া; বাউফল উপজেলার মদনপুরা, শাপলাখালী, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদী, সাবুপুরা, ও আমিরাবাদ এবং কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া, নিশানবাড়িয়া, মরিচবুনিয়া, উত্তর লালুয়া, মাঝিবাড়ি, টিয়াখালীর ইটবাড়িয়া, পৌরশহরের নাইয়াপট্টি, বাদুড়তলী, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাফাখালী এই ২২ গ্রামের পাঁচ হাজারোর বেশি পরিবার আগাম ঈদ উদযাপন করছে।

পিরোজপুর: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও নাজিরপুর উপজেলার আটটি গ্রামের ৬০০ পরিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নের ছয় গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার ঈদ পালন করছে। সকাল সাড়ে নয়টায় সাপলেজা ইউনিয়নের কচুবাড়িয়া গ্রামের হাজি ওয়াহেদ আলী হাওলাদার বাড়ি ও সকাল সাড়ে ১০টায় সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামের খোন্দকার বাড়িতে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন যথাক্রমে মুন্সী শাহ আলম ও মৌলভি হায়দার আলী।

জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেখ মাটিয়া ইউনিয়নের লঘুনাথপুর ও খেজুরতলা গ্রামের ৭০ পরিবার আজ ঈদ উদযাপন করছে। স্থানীয় খেজুরতলা বাজারের একটি মসজিদে সকাল নয়টায় তারা ঈদের নামাজ আদায় করে।

সুরেশ্বর পীরের অনুসারী মঠবাড়িয়া উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রেখেছি এবং আজ সৌদি আরবের সাথেই ঈদ উদযাপন করছি।’

বরগুনা : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার ১০টি গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার পরিবারের মানুষ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করছেন।

শুক্রবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় বরগুনার বেতাগী উপজেলার বকুলতলী গ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইমামতি করেন হাফেজ মো. রমজান আলী।

এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ-উল-ফিতর পালন করছে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা।

জেলার পৌর শহরের আমতলা, সদর ইউনিয়নের; পাজরাভাঙ্গা, কালিরতবক, গৌরীচন্না ইউনিয়নের; ধুপতি, গৌরীচন্না, বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের; বকুলতলী, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের; গোজখালী, কুকুয়া ইউনিয়নের; কুকুয়া, পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের; সিংড়াবুনিয়া ও কাকচিড়া গ্রামের মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।

অনেক বছর ধরে বরগুনায় হযরত কাদেরিয়া চিশতিয়া তরিকাপন্থীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একইদিনে ঈদ উৎসব পালন করছেন।

বরগুনার ১০টি গ্রাম ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে ঈদ-উল-ফিতর পালন করছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

ভোলা : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ভোলার পাঁচ উপজেলার ১০টি গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষ আগাম পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

শুক্রবার (১৫ জুন) সকালে সুরেশ্বর দরবারে পীর, ভান্ডার শরীফ ও সাতকানিয়া অনুসারীরা পৃথক পৃথকভাব জেলা সদর, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও তজুমদ্দিন উপজেলার ১০ গ্রামে মানুষ আগাম এ ঈদ উদযাপন করছেন।

সুরেশ্বর পীরের মুরিদ মজনু মিয়া জানান, সকাল পৌনে ৯টায় জেলার বোরহানউদ্দিনের মুলাইপত্তন গ্রামের মজনু মিয়ার বাড়ির দরজায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কয়েক শতাধিক মানুষ ঈদ জামাতে শরীক হন।

এছাড়াও পর্যায়ক্রমে চৌকিদার বাড়ি, পঞ্চায়েত বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি আরও জানান, প্রতিবছরই জেলার ১০টি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করেন।

32 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন