জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নে দক্ষিণ নারাঙ্গল স্কুল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে শিক্ষার্থীরা মাঝে মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আকাশে মেঘ দেখলেই দিয়ে দেয়া হয় ছুটি।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নে দক্ষিণ নারাঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২০ জন শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভবন ১৯৯২ সালে নির্মিত হয়েছিল। নির্মাণ হওয়ায় কয়েক বছর যেতে না যেতেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চারজন শিক্ষক ও ১২০ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন ক্লাস করে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের ভবনের পলেস্টরা খসে শিক্ষার্থীসহ ২০/২৫ জন আহতও হয়েছেন।
চার কক্ষ বিশিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের ভবনে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়। বিদ্যালয় ভবনটি এতই ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এ ভয়ে শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের উন্মুক্ত আকাশের নিচে ক্লাস করাচ্ছেন।
কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক তালুকদার বলেন, আমার ইউনিয়নে দক্ষিণ নারাঙ্গল ঘনবসতি এলাকা। গ্রামটি পায়রা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় ঘূর্ণিঝর, সিডর, আইলায় আক্রান্ত হওয়ার পরও এখানকার মানুষের আশ্রয় কেন্দ্র না থাকার কারণে মানুষের প্রাণের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত থাকে। এলাকাবাসীর একটাই দাবি এ ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলটি সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে পুনঃনির্মাণের। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে বলে মনে করেন চেয়ারম্যান রাজ্জাক তালুকদার।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝুমুর কুন্ড বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একাধিকবার ভবন সংস্কারের আবেদন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম জানান, উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় এ বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কার করার দাবি জানানো হয়েছে। আশা করি শিগগির স্কুলটি পুনঃনির্মাণ হবে।
এবিষয়ে বক্তব্য জানতে বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন আহম্মেদ এবং সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (সাধারণ) শেখ মো. আকতারুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর, স্পটলাইট