প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে জেলেদের আটক করে উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়াসহ নানা অভিযোগে হিজলা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিনসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে শাস্তিস্বরুপ ক্লোজড করা হয়েছে। একই সঙ্গে হিজলা সার্কেল এএসপি কামরুল আহসানকে অভিযোগুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে জব্দ করা কারেন্ট জাল বিক্রি করে লাখ লাখ আত্মসাতেরও অভিযোগে রয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- হিজলা থানা পুলিশের এসআই মো. মহিউদ্দিন, এএসআই সাইফুল ইসলাম এবং সরোয়ার বশির এবং কনস্টেবল মাহাতাব।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, বিশেষ কারণে পুলিশের এক এসআই, দুই এএসআই ও এক কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত চলছে। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
তবে থানার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত ১৫ অক্টোবর হিজলা থানার অয়োজনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রত্যাহার হওয়া ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামের কাছে স্থানীয়রা নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
সেক্ষেত্রে ধারাণা করা হচ্ছে- ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের ক্লোজড করা হয়েছে।”
শিরোনামবরিশালের খবর